হলো কী? চুলে কাটছ কেন বিলি?
পড়েছ কি কোনো দোটানায়! ভাবতে  
হচ্ছে করবে কী?
কী বললে? বহু নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি
ফুল ফলে সুশোভিত ‘গণতন্ত্র’ বৃক্ষের
ডালে ডালে যেভাবে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে
হয়তো এর শিকড় উপড়ে যাবে আর
একটু হলে।
বলছে কাকাতুয়া, গণতন্ত্র ধরে রাখতে
জনগণ করেছো কি কোনো ভুল? যদি
ভুল করে থাকো গুনতে হবেই ভুলের
মাশুল।
গণতন্ত্রে জনগণের ক্ষমতা কি যথার্থ-ই
কাজে লেগেছে? ভোটাধিকার প্রয়োগ
করে নির্বাচিত করেছে জনপ্রতিনিধি।
আর এক অদৃশ্য মই দিয়ে তাদের তুলে
দিয়েছে সেই বৃক্ষে। তাদের দিয়েছে
পাঁচ বছর গাছের ডালে চড়ে বেড়ানোর
স্বাধীনতা।
অতঃপর নিজেরা করেছে কী?
হাত গুটিয়ে বসে দেখেছে যাদের তুলে
দিয়েছে গাছে তারা করছে কী?
তাদের অনেকে ডালে বসে নিজে পাকা
সুমিষ্ট ফল খাচ্ছে, আর কিছু ছুড়ে দিচ্ছে
জনগণের উদ্দেশ্যে।অনেকে জনগণের
কথা বেমালুম ভুলেছে। তারা এ ডালে
সে ডালে বসে গাছের ফল খাচ্ছে।
এ কর্ম দেখে জনগণ হয়তো একটু হুঙ্কার
দিয়েই ভাত ঘুমে কাটাতে বিছানায় শুয়ে
পড়েছে আর ওরা এক ডাল থেকে অপর
এক ডালে গিয়ে আবার ফল খেয়েছে।
জনস্বার্থবিরোধী কাজ করেছে যারা তাদের
শাস্তির জন্য জনগণ রেখেছে কি সরাসরি
নিজেদের হাতে তাদের গাছ থেকে নামিয়ে
আনার বন্দোবস্ত?
সরাসরি নয়, পরোক্ষে শাস্তি দানের বিধান।
বলছে কাকাতুয়া, এ যেন অপরের হাতের
সাহায্যে খাবারের স্বাদভক্ষনের বন্দোবস্ত।
হায় রে, ওদের কে শাস্তি দিতে নিজেদের
হাতেও রাখেনি সরাসরি শাস্তি আরোপের
ক্ষমতা।
পরিণতি? যা হওয়ার তাই। এখন কেঁদেও
কী হবে। গুনতে হবেই তো ভুলের মাশুল।