কি জানি, ভুগছ কি ক্ষতির আশঙ্কায়! মনে আঁকড়ে ধরেছে ভয়? ভাবছো নিজে অথবা নিজের একান্ত আপন কিছু কি মোটেও সুরক্ষিত নয়?
ভয়, সে যদি অবাধে সঞ্চরণশীল হয়, বেপাত্তা হতে
পারে যে কোনোও সময়! যা দিনকাল, মূল্যবান সামগ্রী চুরি যাওয়ার আশঙ্কা অমূলক নয়।
সুরক্ষার প্রশ্ন! সারাক্ষণ কে কতটা নজরে রাখতে পারে, এমনকি নিষেধের বেড়া টেনে দিয়ে?
বেশতো রাখতে চেয়েছ গণ্ডির ভিতরটা সুরক্ষিত। গণ্ডির ভেতর থেকে বাইরে কিংবা বাইরে থেকে ভেতরে যে কোনো কিছুর গতি প্রতিহত করা যেতে পারে।
প্রশ্ন আছে বৈকি, তাকে ঘিরে।
অবাধে সঞ্চরণশীল বস্তু জল,বাতাস, ভাইরাস, মানুষের চিন্তাশক্তি, ধর্মীয় ভাবাবেগ এদের গতিকে কি এভাবে প্রতিহত করা সহজ হতে পারে?
যেসব তোমার কাছে অনাকাঙ্ক্ষিত মনে হয়, তবুও ওদের যাতায়াত প্রতিহত করা কি সহজ হতে পারে?
বলতে পারো দেশে দেশে সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে কিবা সুউচ্চ প্রাচীর গড়েও অজস্র প্রহরী নিয়োগ
করেও হলো কী? অনাকাঙ্ক্ষিত সামগ্রীর চোরাচালান কে সম্পূর্ণভাবে রুখতে পেরেছে?
মনে পড়ে মনসামঙ্গল কাব্যের কাহিনী। দেবী মনসার অভিশাপ থেকে লখিন্দরকে বাঁচাতে চাঁদ সওদাগর পড়েছিল নাকি মুশকিলে?
হেঁতালের বেড়া দিয়ে সুউচ্চে নিশ্চিদ্র সুরক্ষিত ঘর তৈরি করে সাপের দংশনের হাত থেকে তাকে রক্ষা করার চেষ্টা গেল নাকি বিফলে?
প্রশ্ন, এভাবে কতটা সুরক্ষিত রাখা যায়? অবাধে সঞ্চরণশীল বস্তুদের গতিকে প্রতিহত করতে পেরেছে,কে কবে?
দেশে দেশে যারা আজও ধর্মের বলয় গড়তে সচেষ্ট, নয়তো চালিয়ে যাচ্ছো ধর্মযুদ্ধ, ভাবো সেই বলয় গড়ে কি সাফল্য জুটবে?