ঈশ্বর, তুমি আজও কি গুপ্ত?
হতদরিদ্ররা কষ্টে জর্জরিত, জীবন ক্ষতবিক্ষত
সইতে হচ্ছে ক্রমাগত জীবন যন্ত্রনা
তাদের দিকে শোষকেরা কালো হাত বাড়াচ্ছে নিয়ত।

এমন করুন দৃশ্য তোমার দৃষ্টিতে কি আসে না?
পূর্ণ করতে পেরেছ ক'জন হতভাগার সুপ্ত বাসনা?
স্বচ্ছন্দে এগোতে পাচ্ছে কি তাদের জীবন রথ?
জীবনপথ পরিক্রমা করতে গিয়ে বাড়ছে নাকি দেনা?

সমাজে হু হু করে বাড়ছে বেকারত্ব
কর্মে দিশাহীন ভুগছে কত শিক্ষিত
সেই সাথে হতশ্রী চেহারা অজস্র শিক্ষার অঙ্গনে
কে জানে, সমাজ অচিরে তলিয়ে যাবে আর কত?

রোগাক্রান্ত সাধারণ মানুষ ছটপট করছে যন্ত্রণায়
দুর্লভ স্বাস্থ্য পরিষেবা কেনার অক্ষমতায়
এই পরিষেবা কেনা যেন আগুনে বাড়ানো হাত
দগদগে পোড়া ক্ষতে জ্বলছে কত অসহায়।

হতাশার কালো মেঘে চারিদিক ঢেকেছে দেখি
সমাজে এই হতভাগাদের অপরাধ আছে কি?
তাদের দিয়েছ মুখ বুজে সহ্য করার ক্ষমতা
তারা এখন বাবুদের দুয়ারে ভাতার মুখাপেক্ষী।

হা-ভাতে মানুষেরা দাঁড়িয়ে আছে লম্বা সারিতে
তোবড়ানো অ্যালুমিনিয়ামের থালা বাটি হাতে
ক্ষুন্নিবৃত্তি মেটাতে বাবুদের সাহায্যের আশায়
যদি তাদের করুণায় কিছু সাহায্য জোটে।

ঈশ্বর, কালের চাকা বহু দূর গড়িয়েছে
তবু তাদের ভাগ্য এখনো বাদুড়ের মতো ঝুলছে
তুমি তাদের করে রাখবে আর কত মুখাপেক্ষী?
তারা আর কত ছুটবে বাবুদের পিছে পিছে?

ঈশ্বর, তোমার নিঃস্পৃহতার কে নেবে দায়?
এভাবে চললে গ্রহ তারাও হবে পুড়ে ছাই
অচিরে ভাঙবে কি তোমার ঘুম?
দেবে কি ওঁ-শান্তি জল তাদের জীবন যন্ত্রণায়?