বুঝলি হারাধন এযাবৎ তোর যা গেছে, গেছে,
সেসব পাওয়ার আশায় ছোটাছুটি সবই মিছে।
সেসব নিয়ে ভেবে ও কেঁদে কেটে হবে কি?
আর হাতে আসবে না এখনো বুঝতে বাকি?
এখন করবি কি চারদিক আঁধারে ছেয়ে গেছে।
সারাদিন তাকাইনি ফিরে, রাখালের নির্দেশে
মাঠে চড়ে বেরিয়ে পৌঁছেছি এক নতুন দেশে
হয়তো বহু সাধনায় পেয়েছি এই জীবন
দেখ, বেঁচে আছি গবাদি পশুদের মতন
নতুন পরিবেশে জীবন কাটিয়ে দিতে হেসে।
হারাধন, মাথার উপর দিয়ে ঝড় তো বয়ে গেল
ভাবতে ক্ষতি কি মাঠে চড়ে খেতে পেলেই হলো
অন্য কোথায় কি ঘটছে তাতে কি আসে যায়?
আছি তো বেশ নির্ভাবনায় রাখালের ইচ্ছায়
সেটুকু জুটছে যখন, বলতেই হয় বরাত ভালো।
হারাধন, লাভ কি এই সময় করে অরন্য রোদন
শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে ভাবার কী প্রয়োজন?
লজ্জা নিবারণের বসন ছিঁড়ে গেলেও কি!
গাঁজাতে দম দেওয়ার পরে বলতে হবে কি
এখানে উলঙ্গ রাজার দেশে সেইসব নিষ্প্রয়োজন?
কর্মব্যস্ত রাখাল, মনে হয় এখনও জেগে রয়েছে
সে সকলের ঘুমানোর বন্দোবস্তও করে রেখেছে
হারাধন, জীবন নদী পৌঁছেছে এক বাঁকে
নদীর কলধ্বনি শোনা যায় না কোনদিকে
যাক গে, এবার ঘুমিয়ে পড়; থাকিস না জেগে।
কোথায় ঘুমাবি রাতে? করতেও হবে না ইতস্তত
মোটেও সইতে হবে না রাতে জেগে থাকার কষ্ট
অজস্র শিক্ষাঙ্গন শিক্ষকের অভাবে ফাঁকা
আগে এই করুণ দৃশ্য যেতো কি দেখা?
সেখানে হতে পারে থাকার পাকাপাকি বন্দোবস্ত।