‘যা করেছি বেশ করেছি।’সেদিন জলে
ডুবে মরলে আজ একথা বলার প্রবল
ইচ্ছা থাকলেও সম্ভব হতো না।
দাহ্য পদার্থ জ্বলেপুড়ে ছাই হলে চেষ্টা
করেও আগের অবস্থায় ফিরে পাওয়া
যায় না।
সাঁতার কাটা শেখা হয়নি বলেই সেদিন
পানা পুকুরের জলে পড়ে হাবুডুবু খেতে
হতো। আরো কত কী ঘটতে পারতো!
বাঁচার উপায় খুঁজতে গিয়ে তখন হয়েছি
বিব্রত। সেটি না হয় হতো, করলে এ কী
কাণ্ড! হলো কি মতিভ্রম?
কেন যে জলে ঝাঁপিয়ে পড়লে আমাকে
করতে উদ্ধার! তখন বোঝোনি সাহায্য
না- চাইলে জল থেকে তুলে আনার ছিল
কি দরকার?
কি জানি কী যে উদ্দেশ্য ছিল বিধাতার!
মৃত্যুর মুখে পড়েছি দেখে জলে ঝাঁপিয়ে
পড়ে করতে গিয়েছিলে উদ্ধার?
যদিও একথা সত্য সেদিন উদ্ধার করায়
আমাকে গিলতেই হয়নি কর্দমাক্ত জল।
বেঁচে আছি বলেই এখন মুখ ফুটে কথা
বলতেও পারছি অনর্গল।
ভেবেছিলাম সেকথা পাঁচ কান হবে না।
আর কেউ জানবে না। পড়বে ধামাচাপা।
কিন্তু, এ কী কপাল! সে আর হলো কই?
কথাটি থাকেনি চাপা।
লোক মুখে কথাটি ছড়ালে লেগেছে মনে।
মুখ লাল হয়েছে অভিমানে। কে বা কারা
কথাটি ছড়ালো, কে জানে!
ভেবেছি কিভাবে পাঁচ কান হলো জানার
দরকার কি? জল থেকে তুলে এ জীবন
বাঁচালেও হলো কি? জলে ডুবেই না হয়
মরতে হতো, তখন কি এ কথাটি শুনতে
হতো?
ইজ্জতের প্রশ্ন জড়িয়ে। ক’জন এ কথা
শুনে সইতে পারে? আজ শিয়রে সংকট,
সেকথা কি ভেবেছ কখনো?
শুনতে পাচ্ছো কি বিধির বিধান কাউকে
উপকার করলে তার ভাগ্যে জুটতে পারে
কী প্রতিদান?
যে যাই বলুক, বেশ করেছি। তাই আমি
তোমাকে তাক করে সুনিপুণ ভাবে ঢিল
ছুঁড়েছি প্রতিদানে। অনর্গল রক্ত ঝরছে?
তবে তাই হোক।