হায় রে, এ কী যে এক জটিল ব্যাধি? এলার্জি!
বোঝা খুব দুষ্কর এই রোগে আক্রান্তদের মর্জি।
দেখেছে কাকাতুয়া এই রোগ ক্রমাগত ওড়াতে
বোধ হয় রক্তে রোগের জীবাণুর সংক্রমণ ঘটে।

আক্রান্তরা অল্পতেই হয়ে ওঠে অসহিষ্ণু খুব
বোঝাও দুষ্কর কার কখন শুরু হবে উপদ্রব।
বহু রোগী ঘটাতে পারে দাঙ্গার মতো ঘটনা
ধ্বংসযজ্ঞ বাধাতেও তাদের বিবেকে বাঁধেনা।

পরিনাম নিয়েও তারা চিন্তিত নয় কোনমতে
খুবই কষ্টসাধ্য এই রোগকে নিয়ন্ত্রণে আনতে
রোগটি সংক্রমিত হচ্ছে অসহিষ্ণুতার কারণে
বিশ্বে জনগণেরও দুর্গতি বাড়ছে ক্ষণে ক্ষণে।

এই রোগের কারণ বহুবিধ গবেষকদের মতে
এই নিয়ে গবেষকদের সন্দেহের তালিকাতে
মানুষের খাদ্য, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা, গোষ্ঠী, জাতি,
হতেও পারে ভিন্ন কোনোও দলীয় রাজনীতি।

সমগ্র বিশ্বে যুদ্ধ হানাহানি হচ্ছে কি অকারণ?
যুদ্ধে লিপ্তদের মনে আছে এই রোগের লক্ষণ।
বিশ্ব জুড়ে যত এই রোগের বাড়ছে সংক্রমণ
মানুষে মানুষে দ্বন্দ্বও সৃষ্টি হচ্ছে যখন তখন।

নিষ্কৃতি নেই, ক্রমেই বাড়ছে মনুষ্য সৃষ্ট দুর্যোগ
যুদ্ধের পরিস্থিতিতে সকলেরই বাড়ছে দুর্ভোগ।
বলা দুষ্কর, রোগীদের কার কিসে হবে উপশম
উপসর্গ দেখে নির্বাচন করতে হয় যথার্থ মলম।