মালা গাঁথতে রোজ যে শব্দগুলোকে খুঁজে বেড়াই,
ভাবিনি ওরা এতোই অভিমানী, প্রেম ভালোবাসার
আগলে বাঁধা না পড়লে দেয় না সহজে ধরা।
তারা মুখ ফিরিয়ে নিয়ে, কি জানি,পর্দার আড়ালে
নিজেরা করে কি কানাকানি?
এইতো সেদিন যখন ওদের খুঁজেছি তন্নতন্ন করে
ওরা লুকলো, বোধ হয় অভিমানে।
কে জানে, লুকিয়েছিল কোন গুপ্ত কুঠিরে! এমন
কাণ্ড ঘটালে কে, ওদেরকে খুঁজে পেতে পারে?
রাত দশটা থেকে গোয়েন্দা শার্লক হোমসের
মতো ওদের খুঁজেছি। তবু ওরা দেয়নি ধরা।
দীর্ঘক্ষণ খেলেছে কানামাছি।
মালাগাঁথা হবে কি হবে না ভেবে মন ভালো নেই।
ভেবেছি সব প্রচেষ্টা তুলে রাখতে হবে কি শিকেয়?
কেটেছে দীর্ঘ সময়। শুয়ে বসে সাত পাঁচ কত কী
ভেবেছি। যদি দৈবাৎ শিকে ছিঁড়ে এই ভেবেই
বিড়ালের মতো সেই অপেক্ষায় আরশির পাশে
গিয়ে বসেছি।
তখন থেকেছি বেশ আনমনা।ওদের দেখা সাক্ষাৎ
না পেয়ে অন্তরে বইতে শুরু করেছে ফল্গুধারার
মতো অবারিত নিরব কান্না। এমন দশায় মুখের
ভাষাও বেরিয়ে আসে না।
হঠাৎ কী এক কাণ্ড ঘটেছে!পাশের আরশি ঘড়ির
দোলকের মতো দুলতে শুরু করেছে, কোথাও
ঘটেছে যেন ভূকম্পন নয়তো ভয়ানক বিস্ফোরণ।
মগজে শীতঘুমে সাপের মতো কুন্ডলী পাঁকিয়ে
থাকা শব্দগুলো তখন হারিয়ে ফেলেছে নিজেদের
নিয়ন্ত্রণ।
দীর্ঘসময় যা ভাবতে চেয়েছি যে শব্দগুলো খুঁজেছি
সেগুলো এই ঘটনা ঘটলে কুণ্ডলী পাঁকিয়ে থাকতে
পারে?
এবার নিজেদের সামলিয়ে রাখতে পারেনি আর।
গাত্রদাহে ওরা এই দুর্যোগকে জানালো ধিক্কার!
ওরা অসহায়। ছিঁটকে পড়তে বাধ্য হয়েছে মনের
চৌকাঠে। ধাক্কা খেয়েই লুটিয়ে পড়েছে আমার
বুকের বামে পাঁজরে।
এই ঘটনাটি ঘটেছে মন খারাপের দেশে।
তারপর ঘটেছে কী কাণ্ড? ভাবনাগুলো তখন
অনর্গল বের হতে শুরু করেছে কলমের খোঁচা
খেয়ে।
তবে জানা নেই, সেগুলো ছুটে গিয়ে এসময়
আশ্রয় নিয়েছে কোন বৃক্ষের কোটরে।