বহু ঘটনা দেখেও দেখিনি, এড়িয়ে গেছি।
কখনো কখনো কানামাছি খেলেছি।
জানি, অকপটে সেকথা স্বীকার করতেও ভয়।
পরিস্থিতি ঘোলাটে হলে এমন কত কী হয়।
সমাজের সুরক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে কতিপয়
স্বঘোষিত যুবক। এই রক্ষকেরা এসে বুকে বুলেট
ঠেকালে জীবন নিয়েই সংশয়। বাঁচার তাগিদে
পিছিয়ে আসতে হয়।
পিছুতে থাকলেও, কে বলতে পারে, আর কতদূর
পিছনো যেতে পারে? পিঠ ঠেকে গেলেই দেয়ালে,
তারা ঘিরে ধরে।
প্রত্যাশা অমূলক তারা সস্নেহে চুম্বন খাবে কপালে।
ওই যে তাদের ক’জন অস্ত্র হাতে বীরদর্পে এগিয়ে
আসছে। ওদের পদধ্বনিতে সমাজ ঠকঠক করে
কাঁপছে।
ওরা এখানেই থেমে যাবে? সেই ভাবনাও মিছে।
ওরা আরও বহুদূর এগিয়ে যাবে প্রতিষ্ঠা করতে
তাদের আইনের শাসন।
এযাবৎ রক্তক্ষয়ের ভয়ে সংঘাতে যেতে চাইনি।
বাধ্য হয়ে পিছিয়ে এসেছি বহুদূরে। আর কতদূর
পিছতে হবে, কী জানি!
বেলা গড়িয়ে সন্ধ্যা হলো। অন্ধকার ধরেছে ঘিরে।
পা চলছে না আর কোনমতে। বোধ হয় দাঁড়িয়ে
পড়েছি এসে সাহারা মরুভূমিতে।
ভয়ে সন্ত্রস্ত, কি জানি কী হয়। উটপাখির মতো
বালিতে মুখ লুকোতেই ব্যস্ত।
কে জানে, এই দুর্দশা ঘনীভূত হবে আর কত?