কবিতাটিতে  প্রত্যন্ত অঞ্চলের কিছু সহজাত ভাষা তুলে ধরা হয়েছে, সভ্য সমাজে যা অসভ্য হলেও ওখানকার বাস্তবতা তুলে ধরতে এই প্রকাশ।





মুখপুড়ির বেটি
     কি করলি এটি
          ভাঙা বাসনে খেতি দিলি ভাত
বাজারির মেয়ি
     সব নেলি খেয়ি
          জুটেছে যত ঢেমনি মাগীর জাত।

শাশুড়ির মুখে গালি
     বৌমার চোখের বালি
          ভাঙা বাসন নিছক উপসর্গ
সতীর সতীত্বে ভরা
     পাত খানি চাই গড়া
          তৃপ্তিতে স্বামীকে দিতে হবে সর্গ।

বাসন নামক নারী
     পুরুষের ব্যবহার্য কারী
          যাহাতে যাবতীয় গ্রহন করে আহার
চকচকে যত থালি
     সতীত্ব তত ঢালি
          কানায় কানায় সর্বস্ব সব তাহার।

সতীত্বের কাঁচামালে
     বাসন প্রস্তুত কালে
          কামার পিটিয়ে বোঝে কত মজবুত?
বাসন গেলে ফেটে
     সতীত্ব গেছে কেটে
          এ সমাজ আজও বড় অদ্ভুত !!

ভাতের থালায় তুল্য
     আজও সতীত্বের মূল্য
          নারী রে, সত্যিই তুই আস্ত মাগীর জাত।
দে দে, দে তুলে দে
     দে দে, দে খুলে দে
          শুধু দিতে থাক, তোর নাঙের ভরা পাত।।