- এ দিদি, মা বলেছে পড়াতে ...
- এটাও বলেছে
না পারলে চড়াতে ।
- জানিতো,তুই কি সত্যি সত্যি মারবি !
- তুই বল ভাই ,এই সুযোগ পেলে তুইও কি ছাড়বি?
- ভাই, তুই নামতা জানিস ?
- তোরই ভাই এটাতো মানিস ।
- তবে বল ...
- বইতে আঙুল দে
যা বলছি মিলিয়ে নিয়ে চল
নামতা একে নামতা
নামতা দুগুনে পান্তা
নামতা তিনে ক্ষেমতা ...
এ দিদি তোর ক্ষেমতা আছে ?
- দোর দোর দোর ...
- বলনারে আছে !
- দুষ্টুমি করিসনা মার খাবি পাছে ...
কিসের ক্ষমতা ?
- পারবি ...
তবে বল দেখি এই নামতা !
দিদির মাথায় হাত
- ভাই তোর নামতা বলতে হবে না
শুরু কর ধারাপাত ।
- ধারাপাত ! ও ধারা ...
কর তোর কান খাড়া ...
এক-এ চন্দ্র
দুই-এ পক্ষ
তিন-এ নেত্র
এ দিদি তোর তো দুটো চোখ
আর একটা কোথায় ?
- আমার মাথায় ...
- কই দেখতে পাচ্ছি নাতো ...
- সর সর , দূর হ
তুই এখান থেকে যাতো ...
আছে আছে
এভাবে নয়
ওটা অন্য দৃষ্টি দিয়ে দেখতে হয় ।
- দেখছি তো দেখা
- উফ :
ন্যাকা ।
এই ভাই , তুই অঙ্কের বইটা বন্ধ করে
ইংরাজিটা বের করতো ...
- দুর দুর কি যে করিস ...
এই নে ধরতো ।
- আচ্ছা বলতো ...
মাদার মানে কি ?
- কি আবার মা আর দাদা
- ধ্যাত গাধা
- তবে ...
- মাদার মানে মা
- ওহ , মা জননী করে দিও ক্ষমা ।
- বলতো ব্রাদার মানে কি ?
- এতো খুবই সহজ
বাদার মানে বাবা ।
- উফ : কি হাবাগোবা !
- তুই তো বললি মাদারের মা-তে মা হবে
দা-তে দাদা নয় ,
তবে , বাদারের বা-তে বাবা হবে
দা-তে দাদা হয় ?
- হায়রে ভগবান ...
- দেখ দিদি তুই শিখিয়েছিস
এখন যদি ভুল বলিস
তুই মোলাখাবি কান ।
- তুই ভাই এসব রেখে বাংলাটা বের কর
- তুই না ঠিক পড়াতে পারিস না
একবার বলিস এটাতো
একবার ওটা পড় ।
আমি কত ভালো
লেখাপড়া করে হবই
এই জগতের আলো !
এই নে ধর ...
- তোকে দিতে হবে না উত্তর
- দুত্তোর ...
- শুধু আমি যা বলবো তাই বলবি
মনে থাকবে ...
- তোর এই দিদিভক্ত গুণধর ভাই
তোর কথাতেই জাগবে ...
- তবে বল ... " অ-এ অজগর আসছে তেড়ে "
- ওরে বাবা পালাই ...
নয়তো আমায় ফেলবে মেরে ...
দিদি তুইও পালা
মা আনছে বাঁশের চেরা
করবে ফালাফালা ।