লোক ঠকিয়ে
' মুরগী ' বলিস তোরা
মুরগী-ই তো
নিজের পায়ে খোঁড়া ।
সত্যিই আমি
মুরগী, তোদের যাঁতাকলে
হচ্ছি পেষাই
দলছিস , প্রতি দলে ।
নিজে খাই
নোংরায় খুঁটে খুঁটে
নির্দ্বিধায় তবু
নিস লুটেপুটে ।
দিচ্ছি ডিম
সন্তান সুখ পেতে
তুলিস হায়
গান্ডে পিন্ডে খেতে ।
যতদিন দিয়েছি
রেখেছিস তাও দেখে
ভাবলি আজ
আর কি লাভ রেখে ।
ধরলি টুঁটি
করলি খান খান
হাত দুটো
মোর রক্তে হল স্নান ।
চামড়া গুলো
ছুড়ে দিলি জলে
হাইব্রীড
বাড়ুক দেহ বলে ।
রক্তস্রোত
মাটিতে এসে মেশে
পরোক্ষে
সেও উর্বরতায় বেশে ।
রঙিন পালক
রাঙাস ঘরের সাজে
নয়তোবা
বিশেষ কোন কাজে ।
থালা ভরা
কত পদের রান্না
শুনেছিস কখনো
বলি হবার কান্না ।
মুরগী
ভাব কেমন দশা
করতে হজম
রাখছিস পাতে শশা ।
খাওয়ার
থালার শেষ পাতে
হাড় গুলো
কুকুর নিয়ে মাতে ।
জাতে মুরগী
নে নে সব মুড়িয়ে
বুঝবি হায়
যখন যাব ফুরিয়ে ।
লোক ঠকিয়ে
' মুরগী ' বলিস তোরা
মুরগী-ই তো
করে নে মশকরা ।