যমুনা সেতু হয়নি তখন
আরিচায় আসা যাওয়া
লাগলে খিদে ফেরীর ভিতর
পেট চুক্তিতে খাওয়া।
মনে পড়েছে, যাচ্ছি বাড়ি
সালটা ছিল আশি
খাচ্ছি বসে দুই পিস মাংস
ভেড়া কিংবা খাসি।
ভাত দিয়েছে গামলা ভরে
ডাল ছিল যে ফ্রি
ডাল তো নয় ঘোলা পানি
দেখতে কি বিশ্রি!
আঠাশ টাকা দ্বিগূন মূল্য
উপায় তো আর নাই
নদীর মাঝে একটি হোটেল
বাধ্য হয়েই খাই।
খেতে বসেছি অনেক খেলাম
পুষিয়ে নিচ্ছি খেয়ে
আট প্লেট ভাত করলাম সাবার
ডাইলটা ফ্রি পেয়ে।
যতই খাবেন আঠাশ টাকা
তাই তো আমি খেলাম
অর্ধেক রাস্তা যাওয়ার পরেই
টের কিছুটা পেলাম।
গুড় গুড় গুড় ডাকলো পেটে
মোচর দিল যেই
পেটের ব্যাথায় জান বাঁচে না
হুঁশ টুস্ আর নেই।
অনেক কষ্টে সন্ধ্যা রাতে
ফিরলাম যখন বাড়ি
ব্যাগটা ফেলে দৌড়ে গেলাম
টয়লেট তাড়াতাড়ি।
তিনদিন ভরা কাজকর্ম নাই
হলাম টয়লেট বাসি
টাকা পোষাতে ভাত খেয়েছি
শুনেই হাসাহাসি।
হাজার টাকা খরচ করেও
শরীর হলো দুর্বল
শপথ নিলাম আরিচা ঘাটে
ছুঁবো না আর জল।
এর পরেতেও আরিচা ঘাঠে
অনেক গিয়েছি ভাই
যতই সাধে পেট চুক্তি ভাত
আর কি আমি খাই?