-----।। ক্ষুধার মহা মারি।।----
----- প্রলয় রায়
ওহে জনরব-কোথায় গেল তোমার কলরব?
ঘুমিয়ে আছো কি? রয়েছো কেন এত নীরব?
নাহলে কি বেশ ভালো আছো, আছো মহা সুখে!
তুলিছ ভোজ্য,করিছ ভোজন, ভরিছে উদর মুখে!
ভেবেছো কি তাদের কথা যারা আছে-
আজকে এই ক্ষুধার মহা মারি মাঝে-
মুটে মজুর,হদ্দবেকার কিংবা দোকানদার,
বন্ধ ওদের কাজ-কারবার,নাই কোন রোজগার।
ক্ষিদে পেটে তাই-নাইরে ওদের রোগের ভয়,
মরছে ওরা আজ অনেক জ্বালায় অনেক ক্ষুধায়।
বাঁচাও ওদের আছে যত প্রান্তিক মানুষেরা,
ক্ষুধা তৃষ্ণায় ক্লান্ত যত অভুক্ত সব মজুরেরা।
ওগো শস্যশ্যামলা ভারতমাতা,
তুমিই তো আমাদের অন্নদাতা।
আজ গুদামভরা শস্য যারা করছে উৎপাদন,
কেন ওদের মরতে হবে,করতে হবে অনশন?
বল ওগো তবে ওরাই যদি মরছে ক্ষুধায়!
শস্য তুমি যাচ্ছো কোথায়,কাদের গোলায়?
একদিকে প্রায় শুন্য আয়-নিম্নবিত্ত মানুষের-
অন্যদিকে যত বাড়ছে আয় উচ্চ বিত্ত গুটিকয়ের।
নাই পারো যদি মেটাতে ওদের পূর্ণ ক্ষুধা!
তবে কিসের এত গরব,কিসের এত ক্ষমতা?
চারিদিকে ছড়াছড়ি,এত মহা মারি কেড়ে নিল কত প্রান-
কত কোলাহল,জলছে কত-চিতা নেই তো কোন পরিত্রান-
একের পরে এক-এসে যায় কত-
উন্মাদ শতশত-মৃত্যুর ঢেউ,
ছোট বড় যত নামডাকওয়ালা যত-
যেই বা হও ছাড় পাবে কি কেউ?
দোষ দেখে লাভ নেইকো কারও-
নিজেকে দেখ, তুমি সঠিক আছো তো?
চলছে বিপদ,বাড়বে কত আরও-
নিজে সবকিছু ঠিকঠাক মানো তো?
ঝগড়াঝাঁটি ছেড়ে,রাখো আগে মানবতাকে,
বিপদের বড় দিনে,আজ বাঁচাও পৃথিবী টাকে।
একদিন সব রঙই বাঁচবে-সূর্যও আবার উঠবে।
বিপদ বিদায় নেবে-পৃথিবী আবার রঙিন হবে।
----------++++++++-----------