আগামীতে যেন হই বনফুল কিম্বা পদ্ম শালুক
সবুজে ভরা গ্রাম বাংলার মাঝে,
কোনো এক ডোবার জলে ভেসে যাই যেন
আলো আধারির মায়া ভরা সাঁঝে।
সেদিন যেন বুঝতে পারি আমি,
জড়িয়ে ধরে মায়ের আঁচলখানি
সার্থক হল ফুল হয়ে ফোটা,
সার্থক মাগো আমার জনমখানি।
সকালবেলায় ফুটবো আমি প্রথম সূর্য দেখে,
ভোরের আলোর স্পর্শে পরম ভালোবেসে।
ডোবার জলে নাইতে এসে গ্রামের সরল মেয়ে,
মুগ্ধ নয়নে দেখবে আমায় ডাগর চোখে চেয়ে।
গধূলি বেলায় স্নিগ্ধ আলোয় পাখিরা ফিরবে বাসায়
নামবে আধার আবার এক প্রভাতকালের আশায়।
কালবৈশাখী ঝড়ের সাথে দুলবো যখন আমি,
কালো মেঘের অন্তরালে ঝড়বে অঝোর পানি।
ভাসবো আমি অথৈ জলে দেখবে নাকো কেউ,
মনের মাঝে আনন্দেতে উথাল পাথাল ঢেউ
জেলের জালে জড়িয়ে যাব আপন মায়ায় ভরে
সবুজ ধানের শিসের ডগা ফেলবে লুকায় মোরে।
শরৎএর পেঁজা তুলোর মেঘে, আগমনীর গানে,
কইবে কথা বাতাস যেন আমার কানে কানে।
কাশফুলের মেলার মাঝে হারিয়ে যাব আমি
ঢাকের তালে দুলবে হৃদয়, শুধু তোমার জন্যে জানি।
শত শত হাত করবে আমায় প্রণাম শ্রদ্ধা ভরে
তোমার পায়ের নিবেদনে আমার অর্ঘ হয়ে।
শীত বসন্ত মনের খেলায় সজ্জা হব আমি
থাকবো খোঁপা আলো করে চাঁদের ও মুখখানি।
আমায় নিয়ে লিখবে কবি কত প্রাণের গান
স্নিগ্ধ আলোয় জোৎস্না রাতে পুস্পটিত প্রাণ।
সেদিন তুমি মাগো আবার টেনে নিও কোলে
অন্ধকারে পথ যেন না যাই আমি ভুলে।