কোনো এক ঘুমের দেশে
চলো যাই ভালোবেসে।
কোনো এক রাজার কাছে
নিজেরে হারাই।
যা ছিল স্বপ্ন সুধা
যা ছিল প্রাণের ক্ষুধা।
জীবনের যত গ্লানি
ত্রিলোচনে দিলাম আমি।
নিবেদিত অর্ঘ ডালি
স্বেত শুভ্র ধুত্রো পানি।
গোদোহন অঞ্জলিতে
করজোড়ে স্তোত্রবাণী।
কৈলাশ মেঘের সাজে
জাগ্রত সবার মাঝে।
তবে কেন জীবন ভোগে
করি বিসর্জন।
লালায়িত ষড়রিপু
জড় সম নিম্নগতি।
পীড়িত হৃদয় মাঝে
দিবালোকে ছিন্নমতি।
লোভ আর অহংকারে
ঘৃণা আর ক্রোধের ভারে।
ধরণী ধরার মাঝে
কাঁদিছে দুঃখ লাজে।
অংকুরিত সবুজ জানে
প্রকৃতির আসল মানে।
মনুষ্য নির্মমতা
ভাঙ্গে সব শৃঙ্খলতা।
যার লাগি জন্মিল প্রাণ
সেই আজ নয় যে মহান।
বিষে বিষ ভরিয়ে দিয়ে
নিঃশেষিত অমৃত পান।
বাতাস আজ দূষণ দানব
অভিশাপে ত্রস্ত মানব।
হাহাকার ক্রন্দনধ্বনি
ধংসায় স্বর্প ফনী।
ভৈরব নাচন কোঁদন
নরকে প্রলয় রোদন।
ভয়ঙ্কর ধ্বংসলীলা
নীলাচলে কালের খেলা।
আপনাতে ব্যস্ত জীবন
লাভ ক্ষতি নাগপাশে।
মরণের ওইপাড়েতে
বিধাতা শুধুই হাসে।
পুরোনোকে ধ্বংস করো
নতুনের হাতটি ধরো।
নিয়মের গন্ডি টেনে
বিধির সেই বিধান মানো।
চলোনা আমরা সবাই
প্রতিজ্ঞা আজ রেখে যাই।
রচিব সুন্দর মন
সত্যের শ্বাশত ধন।
যাবে নাকি আমার সাথে
কোনো এক জোৎস্না রাতে।
পরীদের মেঘপুঞ্জে
তারাদের মহাকাশে।
নিয়ে যাব তোমায় আমি
দিয়ে ওই হাতছানি |
আত্মার সুক্ষবেশে
খোলস এই শরীর শেষে |
পরানের প্রাণের মেলায়
জীবনের আনন্দখেলায়।
লক্ষে স্থির অবিচল
যেজন রইবে সচল।
সেইজন রাজার প্রিয়
আছে যার মান আর হুশ।
দূত হয়ে রাজার কাজে
নিয়োজিত নগ্ন মানুষ।
বার বার আসে ফিরে
দুঃখের মানবতীরে।
জগতের স্বপ্ন আশা
নিস্বার্থ ভালোবাসা।
রাজার সেই স্বর্গখানি
দূরে নয় আমরা জানি।
যেন হয়ে অভিমানী
শান্তির শোনায় বাণী।।