মৃত্যু
প্রবীর কুমার বিশ্বাস


মৃদু পদে মৃত্যু আসে, দীর্ঘ যে তার ছায়া
জীবনটাকে নেয় ছিনিয়ে, ফেলে রেখে যায় কায়া।
চিহ্ন বিহীন শূন্যে ঘোরে, আশ্চর্য তার খ্যাতি
মুহুর্তে সে নেয় হাতিয়ে, দেখে না কোনো জাতি।

দেখে না কারো প্রতিপত্তি, কতো আছে নাম যশ
যতই দাও লোভ লালসা, হয় না কারো বশ।
হওনা তুমি রাজাধিরাজ, হওনা সমাজ পতি
থাকুক তোমার লক্ষ সুনাম, যতো খ্যাতির জ্যোতি।

মৃত্যু তোমার বন্ধ দুয়ারে, মুহুর্তে যাবে পৌঁছে
প্রহরীরা দাঁড়িয়ে রবে, সব প্রযুক্তি হবে মিছে।
কতো আবিস্কার করো বিজ্ঞানী, মৃত্যুকে করো বন্দি
বোমাতঙ্কের ভয় দেখিয়ে,করে নাও কিছু সন্ধি।

ক্ষুদ্র জীবন বিরাট দুনিয়া,হলো না কিছুই দেখা
সকল জীবের নামের পিছনে, মৃত্যুর উপাধি লেখা।
কালের আঁধারে নিমজ্জিত হবে, সমাধিও হবে শেষ
ন্যায় ধর্মেও নিষ্ফল হবে, পৃথিবীর যত দেশ।

পৃথিবীর যত যোদ্ধা বীর, যত বলবান শক্তিশালী
তাদের দর্শনে মৃত্যু দিচ্ছে,দুই হাতে করতালি।
কি দণ্ড নীতির শ্রষ্টা তুমি, হে দুর্জয় মৃত্যু কাল?
কার উদরে জন্ম তোমার, তারও কি একই হাল?

হৃদপিণ্ডের ক্রন্দন ধ্বনি, তুমি কি শুনতে পাও?
তবে কেন তাকে মহাশ্মশানের চিতায় আহুতি দাও?
এই জরা মৃত্যুর পৃথিবীতে আমি আসবনা কভু ফিরে
একবার তুমি দাও সে সুযোগ, পৃথিবীটা নেই ঘুরে।।