'কখনও 'আত্মপ্রচার করি না'-এ-কথাটিও যখন
প্রকাশ করি... সেও কী আত্মপ্রচার নয়?
আর্ত ও দরিদ্র-সেবা করি কখনও কখনও,,
হ্যাঁ সে তো মহৎ কাজ মানতেই হবে....;
কিন্ত্ত সবই নিঃস্বার্থভাবে করি ...কি করে যে বলি!
লেন্সবন্দী ছবিগুলি ফেসবুকে প্রকাশের সে কি অদম্য আগ্ৰহ...
উত্তেজনায় মায়ের ওষুধ কিনতেও ভূলে যাই মাঝে মাঝে।
আত্মপ্রচারে সামাজিক সুনাম বৃদ্ধির প্রচেষ্টাও যে স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট!
"শোন,আমি ভাই নিরপেক্ষ,নিরীহ"....কখন বলি?
স্বার্থসিদ্ধির অভিপ্রায়ে নীতিগত পাল্টি খাওয়ার কিছুদিন আগে থেকে.।
মুখোশের ব্যবহার ইদানিং এত বেশি যে হয়ত কিছুদিন পর
ওরাও অনশনে বসবে মুখ হয়ে ওঠার স্থায়িত্বের দাবিতে!
"নারীমুক্তি নিয়ে কতগুলো কবিতা লিখেছি জান "?
যেন আমার ঐ কবিতা পড়েই নারীরা স্বাধীন হয়েছে !
এই তো সেদিন....
মতপ্রকাশের স্বাধীনতা অর্জনের স্বপক্ষে লেখা প্রবন্ধ
প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছি শোনার পর আমার স্ত্রী
দু-তিন দিন গম্ভীর ছিল... ওর মোবাইলের রিং টোনে
দেখি বাজছে.."একই অঙ্গে এত রূপ দেখিনি তো আগে.."।
আসলে দ্বিচারিতা অনেকটা ফ্যাটি লিভারের মত...
সমস্যা আছে বুঝি,কিন্ত মানতে চাই না--বিধিনিষেধের ভয়ে।
সেদিন,স্কুলে গার্ডিয়ান মিটিং এ লম্বা-চওড়া জ্ঞান দিলাম,"'বাচ্চাদের
চাপ দেবেন না,...ইঁদুর দৌড়ে সামিল করবেন না....স্বাধীনতা দিন..."।
ওদিকে বাড়িতে এসে রাগারাগী করলাম....ছেলে কেন খেলতে গেছে ?...
টিন এজে তো চাই শুধু পড়াশুনা... না হলে যে পিছিয়ে পড়বে ইঁদুর দৌড়ে !
মাঝে মাঝে ভাবি ...আমিও কি তবে সেই নেতাদের মতো,
ভাড়ায় খাটা বুদ্ধিজীবিদের মতো হয়ে গেলাম !!
.হেঃ হেঃ..চরিত্রগত স্ব-বিরোধীতা থুড়ি দ্বিচারিতা যে অস্থি মজ্জায় ঢুকে গেছে ..।।