মন খারাপের বাঁশি থেকে পাওয়া
করুন সুরকে দাবিয়ে রেখে
কী অনায়াসেই যে হাসির অভিনয় করা যায়…!
---শিখেছিলাম মায়ের কাছে … ।
ভালোবাসা ,সহ্যগুণ বা দোষ ,
দুঃখের অনুভূতি …এসবের প্রথম পাঠও
আমার মায়ের থেকেই তো নেওয়া ।
হ্যাঁ , মাকে দেখেই শিখেছি …
দুঃখ হলেও অনায়াসে কিভাবে
চোখের জল সামলাতে হয় …!
মনের গভীরে মেঘ হয়ে ঘুরে বেড়ানো
রামধনুর সাত রঙে রাঙানো অনুভূতিমালা
যখন চাওয়া রুপে প্রতিষ্ঠিত হতে চায় …
ওগুলোকেই হয়ত স্বপ্ন বলে …তাই না?
আমার প্রথম স্বপ্ন দেখতে শেখা …মায়ের কাছেই …।
স্বপ্নভঙ্গে, নিজেকে সামলে নিয়ে আবারও
নতুন কোন স্বপ্নের জাল বোনার চেষ্টা …
সে -ও তো মায়ের কাছেই …।
ছোট ছিলাম যখন … একদিন , মনে আছে …
জ্বর নিয়েও মা সেদিন রান্নাঘরে …
মা কে আদর করতে গিয়ে দেখি -
জ্বরে পুড়ে যাচ্ছে সারা গা …!
“বাবাকে বলবো মা, ওষুধ নিয়ে আসতে “?
“খাব রে বাবু,খাব …রাতের ভাত রেঁধে নি আগে …
তারপর তোর পাশে শুয়ে গল্প বলবো …’ ।
ওঃ মা ! এর মধ্যেই বৈঠকখানা থেকে এলো নির্দেশ ---
চার কাপ চা আর টা পাঠাতে হবে …খুব তাড়াতাড়ি …।
মা বলল আমায় ,'তুমি পড়তে বোসো,আমি পরে আসছি'।
কঠিন বাস্তবতা , চরম অন্যায়েও সহ্যগুনের প্রয়োগ …
এক ঝুড়ি অভিমান বুকে জমিয়ে নীরবে নির্দেশ পালন … ।
মাঝে মাঝে অনেক কিছু মনে হয় … প্রশ্ন জাগে …
সহনশীলতা কী অক্ষমতার দ্যোতনা থেকে মানসিক মুক্তি ?
সহনশীলতা কী শালীনতা প্রদর্শন ?
সহনশীলতা হয়ত নীরব প্রতিবাদ !