সেই কবে থেকে একই রুটিন ...
ঘুম থেকে ওঠো ... সহনশীলতার বড়ি খাও ,
অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে ওঠার তেজ গায়েব।
শিক্ষক ,বুদ্ধিজীবি ,কেরানী যাই আমি হই না কেন
ধর্ষিতার কাতর চিৎকার শুনে আমি তন্দ্রাচ্ছন্ন থাকি ...
শোষণের রক্তচক্ষুতে... গ্রহণ করি উদ্ভিদের মৌনতা।
আগে তবুও প্রতিবাদের কোন লেখা পেলে ফেসবুকে
শেয়ার করতাম, এখনতো তা করতেও ভয় পাই..,।
আর প্রতিবাদী কলমটার নিব্ তো কবেই ভেঙে গেছে ।
মাঝে মাঝে কখনও বিবেক জাগ্রত হয় ... তখন
কুরুক্ষেত্রের অর্জুন হওয়ার ইচ্ছে জাগে মনে ...।
এখনও অবশ্য আমি অর্জুন , তবে ‘ কুরুক্ষেত্রের অর্জুন’ নই ...
দ্রৌপদীর লুণ্ঠিত লজ্জায় ‘ নিরব দর্শক অর্জুন ‘...
মাতা কুন্তীর অমানবিক আজ্ঞা পালনকারী ‘কলঙ্কিত অর্জুন ‘।
অন্যায়ের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে, অবশেষে কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধক্ষেত্রে ,
অর্জুন তো তবু তাঁর কলঙ্ক মুছতে পেরেছিল ...
কিন্তু আমার কি হবে? মুক্তি তো চাই...
প্রতীক্ষাই করি... দেখা হয় যদি সখা কৃষ্ণ সনে , কোন একদিন...।