প্রতি ইঞ্চি মাটিতে লেগে রয়েছে হিংসার তাপ ...
মৃত্যুর ভয়ে ভীরু হয়ে বসে থেকে থেকে
নতজানু হয়ে অস্তিত্বের ভিক্ষা চাইছে - তরু দল...।
'শুকনো মাটি খট্খটে... একটু ভিজিয়ে দেবে গো’ ?
'নিষ্পাপ সূর্যকিরণের কয়েক কণা আমায় নিতে দেবে তো?'
নির্বাক তরুগুলির চাহিদা তো শুধু আলো আর জল ...।
অন্যান্য প্রানী আর যাদের দেখা যাচ্ছে --
বুক ফুলিয়ে ঘুরে বেড়ানো ধূর্ত শেয়ালগুলি ...
কিছু আঁচল ধরা অল্পেতে খুশী পোষা কুকুর ..
আর বাকি যত প্রানী আছে, তারা সব তরু সম।
হাত বাড়িয়েই গ্ৰহন করেছিল সবে পরিবর্তনের পেয়ালা।
প্রত্যাশা ছিল, সূর্যোদয় গালিচা বিছিয়ে দেবে...
তৃষ্ণার পানপাত্র ভরে উঠবে বিশুদ্ধ স্বাধীনতার জলে ..।
কিন্তু কি পেল ... রক্তাক্ত মাটিতে মৃত্যুর নগ্ন নৃত্য ।
সমতা চেয়েছিল,পেল বঞ্চনা...
অধিকার চেয়েছিল,পেয়েছে উপেক্ষা ...
সুশাসনের পরিবর্তে শোষণ ।
চারিদিকে শুধু উৎকোচ আর দূর্নীতি ,
প্রচারের ঢক্বানিনাদে চাপা পড়ে আছে সত্য ।
জীর্ণ জীবনে আলোহীন খাঁচায় বেঁচে আছে বুঝি শুধু অস্ত্বিত্ব।
আবার বোধহয় সবাই দাঁড়িয়ে পরবে ইতিহাসের সামনে ...
জেগে উঠবে জীবকুল নিজের ভেতর থেকে নিজে ,
নতুন করে মেরামত করে নেবে স্নায়ুতন্ত্র ...
নিজেই নিজের মাথায় পরিয়ে দেবে অভ্যুদয়ের মুকুট ...।
সত্য তো কখনও মরে না ...রাত্রির শেষেও দিন আসে ,
এক স্বপ্ন হারায় ...আর এক নতুন স্বপ্ন আসে ।
ঐ দেখ চেয়ে – তৈরি হচ্ছে সময় ,তৈরি হচ্ছে বিপ্লব।
ঐ দেখ, কবর থেকে উঠে গণতন্ত্র আবার মুখ বাড়িয়েছে...
আবার বুঝি জেগে উঠবে প্রান ...
আবার বুঝি একজোট হবে সবে পরিবর্তনের আহ্বানে ...।