হ্যাঁ রে , ঠিকই বলেছিস্ তোরা..... ঐ দস্তা বেজে সই আমি স্বেচ্ছায় ই করেছিলাম..
অন্য আর এক বাগানের মালি হওয়ার সিদ্ধান্ত ,হ্যাঁ আমার ই .. তবু
কেন যে আজ এ- অশ্রু বারি প্রকাশিত হতে চাইছে..অনেক না বলা কথা হয়ে...
কেন যে বাস্তবতা বোধকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে আমার সুপ্ত আবেগ....।
জানি ,কাল থেকে তোদের কুঁড়ি থেকে ফুল হয়ে ওঠার বিবর্তনে ,সাক্ষী রব না..
দূরে থেকে... সাক্ষী রব যাদের,তাদের মধ্যে ই প্রতিনিয়ত খুঁজে নেব তোদের...
তোদের জনগণমন তানে মুখরিত ধ্বনির নিঃশ্বাস আছড়ে পরবে মোর হৃদয় বলয়ে...
আমি দূর থেকে সে তানের সাথে মিলিয়ে নেব আমার সুর ,প্রাণের হিল্লোলে ....
স্মৃতির এ্যলবামে স্বর্ণাক্ষরে লিখে রাখব সে সুরের স্বরলিপি ...চিরদিনের তরে।
মনে আছে তোদের ?ক্লাসে একদিন আমি শকুন্তলার গল্প শুনিয়েছিলাম...
আশ্রম কন্যা শকুন্তলাকে ভালোবাসত বাগানের প্রতিটি বৃক্ষ,তার পাতা,ফুল,প্রতিটি প্রানী..
শকুন্তলাও ভালো বাসতো সবাইকে প্রাণ,মন দিয়ে... আত্মার নিবীঢ় টানে...
সেই শকুন্তলাকেও তো যেতে হয়েছিল আশ্রম ছেড়ে ..জীবনের টানে ,বাস্তবতার ডাকে।
'মন যেতে নাহি চায়,তবুও যে যেতেই হয়,আর এক নতুন জীবনের আশা নিয়ে...
রয়ে যাবে সব স্মৃতি... রয়ে যাবে যত নিস্পাপ ভালোবাসা ...অক্ষত রবে পিছুটান।
আজি এ বিদায় দিনে এই শিক্ষায়তনকে জানাই অভিবাদন ..... অভিনন্দনও ...
কেন জান ?..এ -শিক্ষা উদ্যান আমার জীবনের প্রথম কর্মভূমি বলে ই শুধু নয়.....
সামাজিক ভাতৃত্ববোধের সঠিক প্রয়োগের শিক্ষাগ্ৰহণের সুযোগদানের বদান্যতায়....
কতশত কুঁড়ি থেকে ফুল হবার বিবর্তনে সাক্ষী হবার সুযোগ দেবার জন্যেও শুধু নয়....
জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দেবার লক্ষ্যে পিলসুজ রূপে তোমার অবদানের কৃতজ্ঞতা য়..।
আজি এ বিদায় দিনে আবারও অভিবাদন জানাই সকল সাথী কে....
শুধু মনে রেখ ...এ তো নহে সমাপন.. আবার হবে যে দেখা.এই ধরনীতলে..হ্যাঁ,আবারও...।