কতদিন হল চলে গেছ তুমি মাগো,
ঘর ছেড়ে বহু দূরে কোন অজানা নীড়ে....
হয়তো মিশে আছ অজস্র তারার মাঝে...
হয়ত মহাশূন্যে ঘুরে বেড়াচ্ছ নির্ভার হয়ে....
.কি জানি বসে আছ হয়ত পরম পিতার চরণ তলে..
ওখানে গিয়েও কি তুমি রবি ঠাকুরের বই পড়,মাগো?
বারে বারে ফিরে ফিরে যাই.তোমার ঘরে....
কোথায় তুমি মাগো...কোথায় তুমি....
শূণ্যতায় যেন পাথর হয়ে যাই..।
তারপর....অনুভবেই খুঁজে পাই তোমায়....
অশ্রু বুঝি স্মৃতির দূত হয়ে সান্ত্বনা দেয়.....:
দীর্ঘশ্বাস-ই আবার বাস্তবতাকে জাগিয়ে তোলে..।
আমার এ জীবন যতটুকু সাজাতে পেরেছি ....
তা তোমারই দান মাগো, তোমারই দান ।
শত অভাব সয়ে, নিজেকে বঞ্চিত করে..
করেছিলে নির্মাণ যে সোনার সংসার,
আকন্ঠ ভালোবাসা যত পেয়েছো সবার .....
তারেই জেনো, জীবনের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিদান।
প্রতিকূল স্রোতে বেয়েছ তরী
হাল ছাড় নি কোনদিন
ছিল শুধু পণ ..রচিবই তট...
সে তটে পাতা হবে একান্নবর্তীতার ঘট..
ধৈর্য আর একাত্মতা হবে পল্লব...
শান্তির জল ছড়িয়ে পড়বে ভালোবাসার টানে।
জীবনের সফলতা কাকে বলে জানি না ...
তবে .এটুকু বলতে কোন দ্বিধা নেই মাগো...
দারিদ্রের গহ্বরে থেকে তুমি হামাগুড়ি দিয়ে যে জ্যোৎস্না
খুঁজে এনেছিলে, তার আলো বেটেও ছিলে পক্ষপাতহীন
ভালোবেসে...এরপর ,"সূর্যোদয়ে প্রথম সূর্য কিরণের ছটা গায়ে
এসে পড়ুক আমাদের গায়ে "--সে স্বপ্নও যে দেখিয়েছিলে তুমিই ,মাগো।
যতটুকু পারি তার চেয়েও বেশী আমরা তোমায়
শান্তি দিতে চেয়েছি ,জানি না কতটুকু তা পেরেছি।
সন্ধ্যা শেষে রাত্রি নামবে জানি... যেদিন থেকে ভেবেছি একথা,
শক্ত করেছি মন... বুঝেছি, তুমি চলেই যাবে একদিন...।
যাবার বেলায়, নীরবে তুমি বাড়িয়ে দিয়েছিলে যে দুটি হাত.....
সে কি ছিল বিদায় বার্তা মাগো ,না কি আকন্ঠ আশীর্বাদ....।।