রাত ছিল, রাত আছে, রাত থাকবে বলেই রাত সত্য সনাতন
সূর্যালোক শুধু তাকে আড়ালে লুকিয়ে রাখে প্রতিদিন কিছুক্ষণ
চাঁদে পতিত আলো প্রতিফলিত হয়ে হলো পৃথ্বির নানা তিথি
আসে পক্ষ, মাস-বর্ষা, পূর্ণিমা-অমাবস্যা হয়ে রাতের অতিথি
জোৎস্নার আলো আর অন্ধকার-কালো সবই রাতের বিশেষণ।
নিত্য গতির ফলে ধরণীর এক অঞ্চলে যখন কর্মময় দিন
তখন অন্য অঞ্চলে বন্য প্রমোদ চলে সারা-রাত সীমাহীন
কিছু রাত স্মরণীয়, কিছুবা বরণীয়, পালনীয় মহা উৎসবে
কিছু হয় সহনীয় কিংবা অসহনীয়, কেটে যায় দুঃখ অনুভবে
না-পাবার, হারাবার অথবা পাবার রাত কখনো পায় আমন্ত্রণ।
যাদের আশ্রয় নাই তারা সবাই চায় ভয়াবহ রাত্রি না আসে
কত প্রয়োজনে প্রকাশ্যে গোপনে কতজন নিশি ভালোবাসে
কত বঞ্চিত,নিপীড়িত,লাঞ্ছিত,প্রপীড়িত কাটায় বিনিদ্র রজনী
কত সুখী দেয় পাড়ি স্বপ্নিল বিভাবরী ভাসিয়ে আনন্দ তরনী
নিশাচর পায় তার চাহিদার মেটাবার শিকারের প্রতিক্ষীত ক্ষণ।
জীবনের কত রাত মরমে করে আঘাত সব রাত নয় সেরকম
কখনো গল্প বলার কিংবা গল্প শোনার কখনো সে বড় বেরহম
কখনো প্রিয়জনের সাথে অথবা সুদূর তফাতে কাটে নির্ঘুম যামিনী
দূরে রাতে ভ্রমনে যেতে চোখ রাখে জানালাতে অতন্দ্র নৈশ বাহিনী
তাই লিখে যায় রাতের কথা রাতের সংকীর্তন তথা অশেষ রাতকাহন।