আমি রুদ্র ও বসু রূপে বিচরণ করি
আদিত্য ও বিশ্বদেব রূপে ধারণ করি
মিত্র ও বরুণ রূপে শৃঙ্খলা রক্ষা করি
ইন্দ্র, অগ্নি ও অশ্বিনীকুমারদের ধারণ করি।১
আমি শত্রুনাশক সোমকে ধারণ করি
ত্বষ্টা পুষা ও ভগদেবকে ধারণ করি
যে জন হবিষ্য দিয়ে সোম অভিষেক করে
আমিই তাকে যজ্ঞের ফল প্রদান করি।২
আমি রাষ্ট্রের অধিশ্বরী, সম্পদের বিধানকারী
শান্তি লাভের জন্য জ্ঞান দান করতে পারি
বহুরূপে সর্বভূতে শক্তিরূপে বিরাজ করি
দেবতাদের সব কাজ আমিই সমাধা করি।৩
যে আহার করে দর্শন করে প্রাণধারণ করে
বাক্য শ্রবণ করে সবই আমার শক্তিতে করে
আমাকে না জেনে কর্ম করলে হীন দশা প্রাপ্ত হয়
এইমাত্র যে তত্ত্ব জ্ঞাত হলে তা জানাও সহজ নয়।৪
দেবতা ও মানুষেরা সাধনা দ্বারা যে জ্ঞান লাভ করে
আমি নিজে সে সব কথা একে একে বলছি তোমারে
যে যেমন চেষ্টা করে তাকে আমি তেমন করি
ব্রহ্মা ঋষি জ্ঞানী যত সবই আমি সৃষ্টি করি।৫
আমি রুদ্রের ধনু দ্বারা ব্রহ্মদ্বেষী বিনাশ করি
সৎ জনের কল্যাণার্থে স্বর্গে মর্ত্ত্যে যুদ্ধ করি।৬
তাকে আমিই প্রসব করি জগতের পিতা যিনি
জ্ঞান সমুদ্রের অভ্যন্তরে অবস্থিত আমার যোনি
ভূলোকের উর্দ্ধে যে লোক দ্যুলোক বলে পরিচিত
সে লোকও আমার বলে হয়ে আছে আকর্ষিত।৭
নিখিল বিশ্ব মাঝে আমি বায়ুরূপে প্রবাহিত
জগৎ ময়ী হয়েও আমি বিশ্বরূপী বিশ্ব অতীত।৮