একটি শিশুর জন্ম হলো ছোট্ট একটি গ্রামে
মা, বাবার স্বপ্ন সে অনেক বড় হবে ।
বড় হতে লাগলো সেই নাড়ি ছেঁড়া ধন
তার রূপের ঝলকানীতে কেড়ে নিলো সবার মন ।
ঘরের চালে ছিল ছন পাতার ছাউনী
দুই বেলা পেট ভরে খেতে যে কখনও পায়নি ।
বড় হবে স্বপ্ন ছিল দুচোখ ভরে
সারা বিশ্ব ভরে যাবে তার জয় জয়কারে ।
হঠাৎ তার ভাগ্যাকাশে নেমে এলো মেঘ
মাতৃহারা হয়ে, হলো সে অনাথ ।
মায়ের আদরের শীতল ছায়া হারিয়ে গেল তার
তার উপড় আরম্ভ হলো সৎ মায়ের অত্যাচার ।
মা তার চলে গেলেন না ফেরার দেশে
মৃত্যু হলো তার বিনা চিকিৎসাতে ।
পন করলো সে মায়ের চিতাতে
বিনা চিকিৎসায় আর মরবে না কেউ এদেশে থেকে ।
স্থাপন করলেন তিনি স্বপ্নের চিকিৎসালয়
খাদ্য , চিকিৎসা যেন বিনা পয়সায় হয় ।
বিদ্যার জন্য, বিদ্যাপিঠ কাজের জন্য কর্ম সংস্থান
দেশের জনগনের জন্য করলো সে আরও কতকি আয়োজন ।
দূর্গাপুজার মহাউৎসব খানাপিনা আর যাত্রাগান
সপ্তাহব্যাপী ভরে থাকতো এলাকাবাসীর মনপ্রান ।
জনগনের জন্য নিবেদিত প্রান পেল উপাধী দানবীর
তারজন্য গর্বিত মির্জাপুর আজও আছে উচ্চ করে শির ।
পাকিস্থানের কালো ছায়া ধরলো তাকে আঁকড়ে
হানাদারের বুলেটের আঘাতে ঢলে পরলো মৃত্যুর কুলে ।
শেষ হলেন নিজে আর সকল পুত্রগন
বেঁচেছিলেন পৌপুত্র আর মহিলাগন ।
তবো থেমে যায়নি তার স্থাপনা আর কৃত্তি
এখনও চলমান সব আছে তার গতি ।
যতিদিন থাকবে এই পৃথিবী বেঁচে থাকবে তার কৃত্তি
ধন্য হয়ে স্যালুট জানাই হে দানবীর এই বাংলাবাসী ।