মফসসল বাংলার মুখ আমি দেখেছি,
কাঁটাতারে ঘেরা সরোবরের শীতল নীল জলে,
মাছেদের শ্বাসের বুদবুদে, সাদা হাঁসেদের সলজ্জ সঞ্চরণে,
কংক্রিটের থামে বসা নীল পাখির হলুদ ঠোঁটে,
মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকা নারকেল গাছের পাতায় হাওয়ার নাচনে, আকাশে সাদা মেঘের মাঝে মিলিয়ে যাওয়া নীল বায়ুযানে,
সরোবরের কিনারে হঠাৎ করে সাইকেল চালিয়ে চলে যাওয়া ছেলেটির চপল নয়নে, ভেসে আসা কুকুরের চিৎকারে, অভুক্ত কাকের কান্নায় কার্নিশে, রাস্তার পাশে সবুজ মাঠে বসে থাকা এক গাভীর তৃণচর্বণে।
মফসসল বাংলার মুখ আমি দেখেছি,
কলকাতা লাগোয়া বিরাটি জনপদে ভোজনের পর দুপুর বেলায় সাদা বাড়ির বারান্দায় বসে থাকা এক স্বপ্নবিলাসী কবির নিসর্গপ্রীতি বিলাসিতায়, উদাসী নিমগ্নতায়,
গাঁদাফুল আর দূর্বাঘাসে ভরা কবির আয়ত বাগানে মেদুর জ্যোৎস্না যখন নেমে আসে নীরবতায়।