মায়ের আঁচলপাতা রয়েছে মায়ের জন্মভূমির গ্ৰামে বিস্তারে, গ্ৰাম ছাড়িয়ে অনেকদূর। মায়ের করুণা দয়া মায়া মমতার আলো, ছায়াবৃত্ত ছাড়িয়ে গ্ৰাস করে নিচ্ছে যেন ঘন কালো আঁধার। মায়া নয় সে যে মহামায়া!
গ্ৰামটির নাম জয়রামবাটি। জেলা বাঁকুড়া।
মায়ের নামে জয়ধ্বনি প্রতিটি প্রাণে মনে মনে ঘরে ঘরে পথে প্রান্তরে, বেঁচে আছে সবাই মায়ের নামে।
মায়ের ছবি, ঠাকুরের ছবি, তাঁদের নামে কত বইপত্তর, আশ্চর্য রকমের যতসব জীবনের কাহিনী, অনেকেই পশরা সাজিয়ে বসেছে রাস্তার পাশে। ভক্তরা আসছে দেশ বিদেশ থেকে, নিয়ে যাচ্ছে মায়ের আশীর্বাদ বইপত্তর আরো কতকিছু।
ঘরে একটা মায়ের ছবি থাকলেই মানুষের বিশ্বাস, কোনো ভয় নেই, বেঁচেবর্তে থাকবে সন্তানসন্ততি সবাই।
মা যে বলেন, ভয় কি বাবা আমি রয়েছি। মা থাকতে ভয় কি?
বেকার ছিল, এখন অটো টোটো চালাচ্ছে অনেক যুবক ভাইয়েরা, হোটেল লজ খুলেছে হালফিলে। সবাই বলছে মায়ের ইচ্ছে। দেখে যা সবাই কেমন বেঁচে আছে!
মায়ের নামে যে কত লোক আসছে, কতজন আসছে। জাতপাতের কোনো বালাই নেই, সবাই আসছে। করুণাময়ী মা যে সবার!
মা বলেছিলেন, আমি সতেরও মা, আমি অসতেরও মা, কি হৃদয়স্পর্শী কথা!
জন্মস্থানে মায়ের নামে মাতৃমন্দির, একশত বছর কেটে গেল ১৪৩০ সালে অক্ষয় তৃতীয়া তিথিতে। মা বসে আছেন গর্ভগৃহে, যেন নিস্পন্দ সমাধিস্থ। সবাই গিয়ে সেখানে একবার প্রণাম জানায়। প্রণাম প্রণাম প্রণাম মা।
কতশত বছর পার হবে, মা বসে থাকবেন সেখানে সূর্য চন্দ্রের মত, সন্তানদের খেয়াল রাখবেন। বিশ্বজনীন অন্নপূর্ণা মা আমার। জয়রামবাটির মা!