অযোধ্যায় রামমন্দির, রাজধানীতে গণতন্ত্রের মন্দির।
দু'টো মন্দিরই নাকি জনগণের অর্থে হয়েছে। সৎ অসৎ সব অর্থই এসেছে। অনেকেই রক্ত জল করা অর্থ দিয়েছে। এই পোড়া দেশে গরীব মানুষই তো সংখ্যায় বেশি!
রামমন্দিরে বছরভর রামের পুজো হবে। রামচন্দ্র দেশের সবাইকে সুখে শান্তিতে রাখবেন। এই তো সবার আশা। খুশি হয়ে জনগণ ভোট বাক্সে বোতাম টিপবেন।
গণতন্ত্রের মন্দিরে সারা বছর গণতন্ত্রের পুজো হবে। জনগণের স্বার্থে আইন হবে। কালা আইন সব পুড়িয়ে ফেলা হবে। নবমন্দিরে নবজাগরণ!
১৩ ডিসেম্বর একটি কালো দিন। বাইশ বছর আগে পুরাতন মন্দিরে আক্রমণ হয়েছিল।
আবার সেই ১৩ ডিসেম্বর। নতুন গণতন্ত্রের মন্দিরে এসে তারা বানরের মত লাফাচ্ছে। দু'জন আগন্তুক গ্যাস ক্যানিস্টার থেকে হলুদ ধোঁয়া ছাড়ছে।
মন্দিরের ভেতরে নির্বিষ ধোঁয়া ছড়িয়ে পড়ছে।
ধোঁয়া আতঙ্কে গণতন্ত্রের পূজারীরা পালাচ্ছেন। বিপদে গুরুবাক্য স্মরণ- য পলায়তি স জীবতি।
সবার মনে প্রশ্ন একটাই - ওরা কারা? ওরা কি চায়?
ওরা কি আতঙ্কবাদী না আন্দোলনজীবী?
হলুদ ধোঁয়ার সাথে আরেকটি প্রশ্ন ভেসে আসছে - এদেশে এই মহার্ঘ মন্দিরে মহামূল্যবান গণতন্ত্রের পূজারীদের কি নিরাপত্তা নেই?