আজ যখন বাড়ি থেকে বেরুলাম
দেখি অপরাহ্ন রাস্তায় দাঁড়িয়ে আমার জন্যে।

দু'জন একসঙ্গে হাঁটি কলকাতার রাস্তায়
গাড়ি বাইক জনতার ভীড়ে, সিগন্যালে দাঁড়িয়ে
রাস্তা পার হই জেব্রা ক্রসিং দিয়ে হাতে হাত ছুঁয়ে।

আকাশে সূর্য হাঁটছে আর আমরা রাস্তায়।

একসময় অপরাহ্ন চলে গেল দিনরাতের সন্ধিক্ষণে।

দেখি আঁধার এসেছে, আমাকে দেখে খুব খুশি।
একটু এগিয়ে দু'জনে বসলাম একটি দীঘিতটে।
নির্জন জলে মৎস্য সঞ্চরণের শব্দে পুলকিত।

আঁধার বলল সূর্য চলে গেছে তো কি হয়েছে,
এখন দেখবে চারিধারে আলো জ্বলে উঠবে।
থমসন সাহেবের আবিষ্কার করা ইলেকট্রন,
ইলেকট্রনের স্রোত থেকেই আলোর বিচ্ছুরণ,
আঁধার তো আলোর ভেতরেই লুকিয়ে ততক্ষণ।

আলো জ্বলে উঠলো, দেখি পাশে আঁধার নেই।
তারপর আলো নিজের আলোতে সবকিছু দেখালো,
একের পর এক। সুন্দর একটি সবুজ বাগান।
বাগানের ভেতরে হেঁটে হেঁটে আলো সাথে সাথে।
মুঠোফোনের ক্যামেরায় কিছু ছবি পোস্ট হয়ে গেল ফেসবুকে।

এভাবেই আজ বিকেলে একটি কবিতার জন্ম!