বস্তিটির অদূরে শতাব্দী প্রাচীন এক অশ্বত্থের প্রকটতা। নিঃশব্দ পরিবেশে চারিধারে গা ছম ছম নির্জনতা।
কিছুদূরে গুরুগ্ৰামে অমৃতকালের নতুন ভারত,
দিগন্ত আড়াল করে বহু বহুতল, কি মসৃণ সড়কপথ!
শ'তিনেক পরিযায়ী পরিবারের এই বস্তিতে অস্থায়ী বাস। ঝলমলে নিয়ন আলোর নীচে যেন ঘুটঘুটে আঁধারের নিবাস।
রাতে ফিরে রহিম শেখ, প্রকাশ মন্ডল, প্রদীপ সিংহ খাটিয়ায় বসে সুখ-দুঃখের গল্পে মজে, ভাগ করে বিড়িতে টান দেয়, ক্লান্তি যায় মুছে।
হঠাৎ করে একদিন বিদ্বেষের হাওয়া ভেসে আসে কুটিল চক্রে, তাই শাসাতে এসেছিল দাবাং দলের এক বাইক বাহিনী, যাবার পথে দোকানে আগুন লাগিয়ে দেয়, দুঃসহ কাহিনী। নিরাপত্তা রক্ষীরা আজ ভুগছে নিরাপত্তাহীনতায়।
ভয়ে ভয়ে তারপর রাস্তায় নামে পরিযায়ীরা। বোঁচকা পুঁটলি কাঁধে মাথায়, মায়ের কোলে শিশু, উদাস দৃষ্টি, চোখে মুখে ভয়ের ছায়া। মনে ভাসে শুধু বুলডোজার আর আগুনের লেলিহান শিখা।
আধুনিক ভারতে অমৃতকাল চলছে। পরিযায়ী শ্রমিকেরা আবার রাস্তায় হাঁটছে, ট্রেনে করে যাচ্ছে পশ্চিম থেকে পূর্বে, উত্তর থেকে দক্ষিণে।
অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে এ যেন এক অন্তহীন যাত্রা!