তুমি অন্তরে নিবেশিত দ্বন্দ্ব চরিতার্থ,
        তুমি স্বার্থ।

হার মেনে যে শ্রমিক শ্রমের দুয়ারে
         নত মস্তকে গাইছে গান
তুমি তার কষ্টের ক্ষতে ঢেলেছ তিক্ত বেদনা।

দখিন দুয়ারে চেয়ে দেখি ,
     রৌদ্র ঝলমলে প্রাত
ক্ষুধার্ত শিশুর ন্যায় চেয়ে রয়েছে ,ঐ দুয়ারের চৌকাঠে।
   তারে তুমি দিয়েছ ফিরায়ে অসিত মেঘের আস্তানায়।

শিক্ষা পিপাসু শিশুর অন্তরে তুমি বিদ্বেষের চাবি,
    লাগে তব সন্নিকটে,প্রস্তাবে মম অপার্থিব দাবি।

তুমি বেড়ির শিকলে প্রাণবন্ত নিরীহের রক্ত,
    দোষীর বক্ষে ক্লান্ত অনাক্রমতা নিয়তির দ্বারে শক্ত।

জগতের পথে বিছিয়েছে ফাঁদ তোমারই সৈন্যদল,
     হতাশে দুঃখী, স্বর্ণ পিচে হত্যার পদতল।

নিকাশির দ্বারে তুমি লেগে থাকা অবাঞ্ছিত প্লাস্টিক,
    বঞ্চিত সমাজে দূষণের ঝড়,তোমার আবেশে চারিদিক।

তুমি দুস্থ মায়ের সুস্থ শিশুকে ছিনেছো সন্ধ্যারাতে,
      উৎপীড়িতের ক্রন্দনরোলে গোটা বিশ্ব মাতে।

তুমি স্বার্থ,
    ব্যক্তিস্বত্বার শীর্ষে  ক্রোধের চন্দন টিকা।
চরিত্র গঠনে তুমি ব্যার্থ,
     তুমি স্বার্থ।
  
                   *****