সে এক বিশ্ব ,
যেথা পরাণের বাঁশি কেঁড়ে নিয়ে হাসি
লুকিয়েছে কোন দৃশ্য?

যেথা বসত গড়ে বক্ষ মাঝে মানবতা।
চঞ্চল প্রাণ চুমে পদধূলি শান্ততা।

যেথা সমীরণে নীড় কাঞ্চনে ঊর্মির ছোঁয়া লাগে।
যেথা চিৎ পলাশে বসন্ত নেশা জাগে।

যেথা গাঁয়ের বধূ কলস ভরে
   জল লয়ে যায় ঘরে,
যেথা স্বপ্ন বোঝাই গরুর গাড়ি
    দূর দেশে যাত্রা করে।

যেথা দাবানলসম গ্রীষ্ম বাতাস
      ঝর্ণার শীতলতা পায়।
যেথা পাখির কুজন ঘুম পুরিতে
        হাত বুলিয়ে দেয়।

যেথা সোনালী ইচ্ছে ছুটে চলে যায়
         নুতন ভোরের টানে।
যেথা সুরের ধরা ঘুচায় জরা
          নীরব অভিমানে।

যেথা পঙ্ক মাঝে উদারতা
    মেলে দেয় তার ডানা।
অভাবের আঙিনায় অহম রাত্রি
      দেয় না সেথায় হানা।

যেথা শিশুর পদলালিত্য খঁজে পাওয়া যায়
        ঘাসের কণায় কণায়,
যেথা তরুণ সবুজ জীবন পায়
         বৃষ্টির আনাগোনায় ।

যেথা মৌন মিছিলে
      যুদ্ধের জয়ঢাক নেই।
সেথা সরলতা সত্যের হাতে
      হাত মিলিয়ে চলবেই।

যেথা আবেগের পাহাড়ে
    অন্যায় গুলো চাপা পড়েছে বহুদিন।
সেথা নিশীথ রজনী কলঙ্ক মাঝে
       আনে পূর্ণিমা দিন।

                 ***