আমি কংকার চোখের দিকে তাকিয়ে চমকে যাই
আগে তো কখনোই এই চোখের দেখা পাইনি।
যেনো শরৎ এর আকাশ দেখছি সচ্ছ জলের বিলে।
এতোটাই সচ্ছ যে মাথা বেধ করে পিছনটা দেখা যাচ্ছে।
আমি তাকিয়ে আছি?
নাকি ডুবে যাচ্ছি স্থির নীল সাগরের তলো দেশে।
তোমার হাসি নূপুরের ঝনঝনানি
যেনো আমার কানের মায়াজাল বেধকরে মস্তিষ্কের দরজায় ঠক ঠক কড়া নারছে।
আমার চোখে মোখে ভয় গভীর সমুদ্রে ডুবে যাওয়া নাবিকের ভয়।
আমি কি পারবো তোমার চোখের মায়াজাল কাটিয়ে মুক্ত হতে?
আমি যদি কবি হই মহাকালের শেষ কবি,
আর তোমার চোখ নিয়েই কবিতা লিখি
তবে কি বাংলাভাষার সব শব্দ দিয়ে তোমার
চোখের উপসংহার লিখতে পারবো?
নাকি আমি বড় লেখক হবো, তোমায় নিয়ে বই লিখবো
যে বই পড়ে মাথা খারাপ করে ফেলবে একবিংশ শতাব্দীর যুবক যুবুতীরা।
নাহ আমি তোমার ছবি তুলবো যে ছবি তুর্কি রমনীর চোখের ছবিকেও হার মানাবে।
খানিক সময়ে স্থির করে দিবো তোমার চোখ জোড়া।
আচ্ছা তুমি কি তোমার চোখের যত্ন নাও।
যেম্নটি নাও তোমার চুলের।
কংকা লুকিয়ে রাখো তোমার চোখ
না হয় সরকার তোমার চোখ কে সরকারি সম্পত্তি বলে দাবি করবে।
সরকারি কোষাগারে জমা করে দিবে তোমার চোখ।