কামনার লয়ে ছাপ,
নিঝুম রাতে টেনে লয় যারে মনের জমানো পাপ।
শকুনের মতো শিকার খোঁজে আঁচল শাড়ি মধ্যের,
শেষে পাষাণের বেশ মুখে লয়ে আসে, বেশ্যার খদ্দের।
শেয়ালেরা যবে হাঁকে,
বেশ্যার যত খদ্দের আছে, পিশাচের মতো ডাকে।
কুকুরের মতো লালায়িত হয়ে তাকায় নারী স্তনে,
আছে যত ভাঁজ বেশ্যার দেহে, কুটে খায় মনে মনে।
তবে যতই ছড়াক উষ্ণতা আর যতই বিলাক দেহ,
রাত শেষে সবে ফিরিয়েছে মুখ, ভালোবাসেনি কেহ।
ফুলের মধু শুষে লয়ে গিয়ে পালায় সবই লুটে,
পয়সায় ভরা আঁচলের ভারে বেশ্যার বুক ফাটে।
কেন হায়নার মতো চাহনী,
তাদের মুখে মা, বউ আর বোনের মুখ কি দেখনি?
উন্মাদ কেন, উত্তাপ কেন, কামতুর কেন গাত্র,
তোমরাই তো সাজিয়া বেড়াও, সুশীল মনের পাত্র।
কোন দিন কি শোনো নাই?
বেশ্যারা শুধু দেহ বিলায়ে যৌনতা দিতে আসে নাই।
উগ্রতা দিয়ে, নগ্ন গায়ে উপভোগ যত করো,
বেশ্যার কাছে ব্যবসার চেয়ে জীবন তত বড়।
কেউ কখনো সুধিছো কাহরে বেশ্যাই কেন হলো?
স্বামী, সংসার ছেড়ে কেন সে নিজেরেই বিলালো?
এমন প্রশ্ন, খদ্দের কভু ভাবে নাই কোন ক্ষণে
কামনা মিটায়ে পয়সা উঠাবে এটাই থাকে মনে।
তবে জেনে লও সবে আজ,
পয়সাই এই বেশ্যা বানায় ভুলিয়ে সকল লাজ।
সম্ভ্রম বেচে দেহরে বিলায় সকাল, দুপুর, রাতে।
পুতুলের মতো বদলায় তারা পুরুষের হাতে হাতে।
শুধু এটুকু জানাও ভাই,
কেন খদ্দের হয়েছো তোমরা, লজ্জা কি কোন নাই?
কেন বসে আছো শরম ভুলে, খদ্দের হয়ে হাটে,
কেন আঁকিতেছো কলঙ্কের দাগ, বেশ্যার ললাটে?
যে হাতে তুমি যৌনতা ধরো, সে হাতে করো দান,
বেশ্যারাতো মায়েরই জাতি, বিলাও সে সম্মান।
খদ্দের নয় মানুষ হয়ে আলো ছড়াও এ ভবে।
পতিতরে ডেকে ভাল পথে আনো, খোদাও খুশি হবে।