নিশিদিন রজনী আসে, দিনে সূর্য ওঠে,  
কারাগারে বন্দী রই, স্বপ্ন শুধু ঝরে।  
দেয়ালের কোণে নিঃশব্দ হাহাকার বেঁচে থাকে,  
প্রতিটি দমের ছন্দে, শুধু বন্দীর ব্যথা বাজে।

ঘর বাঁধা কাঁটার মুচলেকা, জীবনের ক্লান্তি,  
আশা হারিয়ে যায়, জমে অন্ধকারের অন্তরীণ শান্তি।  
জীবনের ফুলগুলো মরে, হায়, বন্দী পথে,  
কয়েদি জীবনের প্রতিটি প্রহর কষ্টে কাটে।

কারাগারের অন্ধকারে রাত্রির শাসন বিরাজে,  
দুঃখের আকাশে বেদনাগুলি সন্নিবেশে।  
আবদ্ধ হৃদয় তলিয়ে যায়, আশা ক্ষীণ হয়ে,  
দিনগুলো চলে যায়, কষ্টের সুরে মিশে।

প্রতি দেওয়ালে আঁকা স্মৃতির ছবি ঝুলে,  
এক এক করে দিনগুলো একাকী চলে।  
বন্দী সুরের করুণতা, মনের কষ্টের গান,  
বেদনার শেকলে বাঁধা, স্বপ্নের ভাঙা ধ্বনিপ্রাণ।

আলোসন্ধ্যার আশা, তবু বিদায়ের অন্ধকার,  
চিরকাল বন্দী হবার শাস্তি, বড্ড ভয়ানক ভার।  
প্রাণের অভ্যন্তরে মুক্তির আকাঙ্ক্ষা ফোটে,  
কিন্তু বাস্তবতা কঠিন, হৃদয়ে বিষাদ জোটে।

স্মৃতির ভেতর থাকে আনন্দের এক কণা,  
যা কারাগারে হেলে পড়ে, সঙ্গী কেবল যন্ত্রণা।
দিনের শেষে রাতে, চাঁদের আলো রূপালি,  
বন্দীর ঘুমে উঁকি দেয়, স্বপ্নের পাখি বনমালী।

জীবন যেন এক জেল, মনের মাঝে পড়ে,  
স্বপ্নের জালে বন্দী জীবনের রুদ্র ঋণে।  
মুক্তির সন্ধানে আশা আর কান্না মিশে,  
কারাগারের অন্ধকারে শুধু নিরাশা ভরিয়ে।

একদিন হয়তো মুক্তি আসবে হেসে বলি,  
যতদিন বেঁচে আছি, কারাগারে আমি কল্পনা করি।  
মুক্তির প্রহর কবে আসবে জানি না,  
কিন্তু আশা আছে বেঁচে,  
একদিন ভেঙে যাবে এ কারাগারের দেয়াল,  
মুক্তির আলো ছড়াবে, জীবন হবে অমল।