(শহর, সেই ময়মনসিংহ কে...)
আমি দাঁড়িয়ে আছি ছেলেবেলার সেই চোখ হাতে
শহরের গত আঙিনায়
নিমেষেই মনে নামে ঐকিক অতীত
প্রসন্ন আসবাব, প্রাক্তন ইট বালির নূতন আবর্তন
আমি হাঁটছি, সদ্য উঠে আসা পাঁচিলের পাড় ধরে
অনাকাঙ্খিত আড়ালের
প্রেসক্লাব থেকে গাঙ্গিনারপাড় হয়ে স্টেশন রোড
অমায়িক পা কেবল আন্তরিক হয় ফিরে ফিরে
ঐ যে আমার কাঁচা রাস্তার শৈশব
দুর্গা বাড়ি, আঠারো বাড়ি বিল্ডিং, বিপিন পার্ক
পরিচিত দেয়ালিকার ঘনিষ্ঠ চুন রঙ
এখানেই হেঁটেছেন সেইসব পিতামহ
জন্মদাতারা বসেছেন আসরের তাজমহলে উষ্ণ পেয়ালায়
নকশী কাঁথার ঘরদোর নাগরিক পর্দায়
নির্লজ্জ কি ভীষণ এখানে এখন
আমি ও আমার কৈশোর
যৌবনের ধোঁয়া হাতে
নির্বাপিত ঘুমিয়ে যাবার দিনলিপি
ঘেঁটে পেয়েছি কিছুটা নিউজপ্রিন্ট শহরের
জীর্ণতার চৌকাঠে বয়স্ক আঙুল এখন বিলাসী হয় না
ভ্যাবাচেকা লোকালয়ের টেকনাফ থেকে তাতুলিয়া
পাখির বাসা খুঁজে পাইনা আর
আদ্রিত টাউন আউট-পোস্ট আমার
এপিটাফের অন্ধ কালিতে আজো দেখতে পায়
নৈমিত্তিক আবর্জনার ঢোল সাম্প্রতিক
নাগরিকেরা কি অসভ্যতায় বাজায় নিরীহ শহরের কানে
প্রতিদিন।