ছেলেটা / সুদীপ্ত বিশ্বাস
এই ছেলেটা দুষ্টু ভীষণ, ওই ছেলেটা দস্যি
লাফায় শুধু তিড়িং বিড়িং হাতে ফোঁটায় বঁড়শি ।
এই ছেলেটা বায়না ধরে, ওই ছেলেটা হাসে
হুড়মুড়িয়ে একলা ছোটে নদীর পাশে পাশে।
এই ছেলেটা স্বপ্ন দ্যাখে, ওই ছেলেটা ঘুমোয়
আয় আয় চাঁদ টি দিয়ে যা, দে ভরিয়ে চুমোয়।
এই ছেলেটা একটু রোগা, ওই ছেলেটা কালো
দুটি ছেলেই মন কেড়ে নেয়, দুটি ছেলেই ভাল।
এই ছেলেটা ওড়ায় ঘুড়ি,কিংবা বাজায় বাঁশি
চলনারে ভাই ওদের সাথে পরান খুলে হাসি।
এই ছেলেটায় ওই ছেলেটায় অনেক ঘুরে থামি
ছেলে দুটি আর কেউ নয়, ছোট্ট বেলার আমি!
ডিডং ডিডং মজার দেশে
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
ডিডং ডিডং মজার দেশে সব কিছু অদ্ভুত
মানুষগুলো গাছে চড়ে, হেঁটে বেড়ায় ভূত।
কোনও পাখির নেই তো ডানা, গাছগুলো সব ওড়ে
পাহাড়গুলো ছুটতে পারে ট্রেনের চেয়েও জোরে ।
বাঘগুলো সব ঘাস খায় আর ভয়ে ভয়ে থাকে
হরিণগুলো যখন তখন হালুম হুলুম ডাকে।
দিনের বেলা চাঁদের আলো, আকাশ জুড়ে তারা
সমুদ্রটা সমান তো নয়, খুব উঁচু আর খাড়া।
নদীগুলো সাগর থেকে পাহাড় খুঁজতে যায়
পাহাড়গুলো দিন দুপুরে শিস দিয়ে গান গায়।
কিন্তু ডিডং ডিডং দেশটা একটা দিকে ভাল
সাদাকে সব সাদাই বলে, আর কালোকে কালো।
ডিডং লোকের মুখের কথা মনের কথা হয়,
ডিডং দেশের কোনও মানুষ মুখোশধারী নয়!
হাসি
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
কেউ বা হাসে হো হো করে কেউ বা হাসে হি হি
সাপের হাসি হিস হিসানি ঘোড়ার হাসি চিঁহি ।
কারও হাসি ভীষণ সরু কারও হাসি মোটা
ঘর ফাটিয়ে হাসলে পরে, অট্টহাস্য ওটা।
কেউ বা হাসে গোঁফের তলে কেউ বা হাসে অল্প
কেউ বা হাসে প্রাণ খুলে খুব, দিল খোলা তার গল্প।
কারও হাসি সরল খুবই কারও হাসি মিষ্টি
মনটা হাসে খুব গরমে যখন নামে বৃষ্টি।
ফকির হাসে ফোকলা দাঁতে ভগবানের ভরসায়
মেঘের ফাঁকে সূর্য হাসে প্যাচ-প্যাচানি বর্ষায় ।
কেউ বা হাসে বুক ফুলিয়ে কেউ বা হাসে মুচকি
খিলখিলিয়ে শুধুই হাসে পাশের বাড়ির পুচকি।
ছেলের মুখে দেখলে হাসি বুকটা ভরে হর্ষে
হাসছে মানুষ চিন-জাপানে হাসছে ভারতবর্ষে।
হাসি মানেই দাঁতের রাশি হাসি মানেই গল্প
হাসি পেলেই হাসতে পার, হেস না কেউ অল্প...
আয় বৃষ্টি ঝেঁপে
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
বৃষ্টি রে তুই আয় না ঝেঁপে আমাদের এই গাঁয়ে
দে ছুঁয়ে দে মিষ্টি ছোঁয়া রাঙা মাটির পায়ে।
ওই যে মাটি, মাটির ভিতর শিকড় খোঁজে জল
বল না বৃষ্টি ওদের সঙ্গে খুশির কথা বল।
টিনের চালে অল্প আলোয় যখন ঝরিস তুই
পুকুর ভরে শালুক ফোটে বাগান জুড়ে জুঁই ।
আকাশ তখন সাত রঙেতে রামধনুটা আঁকে
সেই খুশিতে টুনটুনিটা টুটুর-টুটুর ডাকে।
রামধনুর ওই সাতটি রঙে মন হারিয়ে যায়
অনেক দূরে তারার দেশে মেঘের সীমানায়।
মাছের খোঁজে পানকৌড়ি ওই তো দিল ডুব
বৃষ্টি নামুক বৃষ্টি নামুক টাপুর টুপুর টুপ...
সেকাল একাল
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
তোমরা ছিলে অনেক ভাই আর অনেক কটি বোন
আমাদের তো ভাই বোন নেই, আছে ফ্ল্যাটের কোণ।
তোমরা সবাই আম কুড়োতে বৈশাখী ঝড় উঠলে
ছপ ছপা ছপ সাঁতরে যেতে শাপলা শালুক ফুটলে।
তোমরা সবাই খেলতে গিয়ে আছাড় খেতে ধুপধাপ
আমরা খেলি ঘরে বসে একা একাই চুপচাপ।
তোমরা খেলা করতে মাঠে, আমরা খেলি স্ক্রিনে
তোমরা ছিলে শক্ত পোক্ত আমরা তো মিনমিনে।
তাই বলে কি খেলায় কাঁচা ? কত খেলাই পারি
বিশাল বিশাল দৈত্য দানো মাউস ক্লিকে মারি।
ডাকাডাকি
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
টিক টিকা টিক টিক
এখন তোরা ভাববি যা যা
সব কিছু তার ঠিক।
হুক্কা হুয়া হুম
শীতের রাতে তোদের কেন
ডাকাডাকির ধুম?
গ্যাঙর গ্যাঙর গ্যাঙ
ঘরের কোণে কখন এল
মস্ত কোলা ব্যাঙ ?
চিড়িক চিড়িক চিক
লেজটি তুলে কাঠ বেড়ালি
ছুট দিয়েছে ঠিক।
কড়াত কড়াত কড়
বাজ পড়েছে, ছুট্টে গিয়ে
মাকে চেপে ধর ...
জানাজানি
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
জানিস নাকি ? জানিস তোরা -
পক্ষীরাজের বাচ্চা ঘোড়া ,
কেমন ধারা লেজটা যে তার
কেমনই বা ডানার বাহার?
জানিস তোরা ? জানিস নাকি
থাকে কোথায় হোমা পাখি ?
ছারপোকারা তক্তপোশে
কি কারণে রক্ত চোষে ?
কিসের জন্য কুকুরগুলো
ভর দুপুরে মাখছে ধুলো ?
ভাবতে বসে ছোকরাগুলো
মাদুর পেতে একটু শুলো ।
কথা শোনা
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
পাহাড় বলে, “আয় নারে তুই”
চাঁদটা বলে উড়তে
পিঁপড়ে বলে, “দল বেঁধে চল
দেশ বিদেশে ঘুরতে।”
কাদা বলে, “বানাও পাখি”
কাগজ বলে, “আঁকো”
হাত বাড়িয়ে আমায় ডাকে
চূর্ণি নদীর সাঁকো ।
ফড়িং বলে, “চল না উড়ি ”
নৌকো বলে, “ভাসি”
কু ঝিক ঝিক, কু ঝিক ঝিক
ডাকছে ট্রেনের বাঁশি।
লাটাই বলে, “ওড়াও ঘুড়ি”
ঘোড়া বলে, “চড়ো”
চোখ রাঙিয়ে বাবা বলেন,
“ মন দিয়ে বই পড়ো।”
কার কথাটা ফ্যালনা এবং
কার কথাটা দামি,
ভেবে ভেবে কুল পাই না
ছোট্ট মানুষ আমি!
দাওয়াই
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
বদ হজমে রাম ছাগলের হচ্ছে দারুণ কষ্ট
এত দিনের সাধের ভুঁড়ি সেটাও হল নষ্ট।
বেছে বেছে হিসাব করে চলছে খাওয়া দাওয়া
কেউবা বলে এখন রামু বদল কর হাওয়া।
বলল সবাই উপোষ করেই উঠবে রামু সেরে
শেষমেশ তো সুগার প্রেসার দুটোই গেল বেড়ে।
তেত ওষুধ চিবিয়ে খেল, খেল বোতল শিশি
অ্যালোপ্যাথিক হোমিও বা আয়ুর্বেদিক দিশি
সব ওষুধেই ভেজাল এখন, ভেজাল কলি কাল
ভেজাল খেয়ে ভেজাল মেখে রামুর এমন হাল ।
অবশেষে শিখল রামু রাম বাবাজীর যোগ,
সকাল বিকাল প্রাণায়ামে সারল রামুর রোগ!
বুড়োর বিয়ে
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
কল করেছেন বিধাতা পুরুষ কল করেছেন খুড়োর
এবার বুঝি সাত পাকের সে লগ্ন এল বুড়োর।
অনেক কবার হাত পুড়িয়ে, অনেক জেনে বুঝে
অবশেষে বুড়ো বুঝি পাত্রী পেল খুঁজে!
বুড়োর বিয়ের বাড়তি মজা দারুণ খুশির দিন
বন্ধুরা সব হাত পা ছোঁড়ে তাক ধিনা ধিন ধিন।
বেহাগ সুরে হাঁড়ি চাচা হেঁড়ে গলা সাধে
পড়ল বুড়ো খুড়োর কলে, রাধে কৃষ্ণ রাধে!
বৃষ্টি চাই
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
দারুণ গরমে আর তো পারি না
তেষ্টায় ফাটে ছাতি
ধুঁকছে মানুষ ধুঁকছে কুকুর
ধুঁকছে বিশাল হাতি ।
মাঠ ঘাট সব ফেটে ফুটিফাটা
কোত্থাও নেই জল
গাছের বাঁদর, তারাও খুঁজছে
কোথায় জলের কল।
সূর্যটা যেন গনগনে আঁচ
সেঁকছে পৃথিবীটাকে
একটুও খুশি আঁটকে তো নেই
কারোর ঠোঁটের ফাঁকে।
লোকজন সব রুষ্ট মেজাজে
ছুটছে যে যার কাজে
বলছে সবাই বছরটা ভাই
বিশ্রী, ভীষণ বাজে।
বাড়ছে গরম চড়ছে পারদ
যাচ্ছে সময় যত
গলছে বরফ পাহাড় চুড়োয়
প্রতিদিন অবিরত।
বাতাসে আগুন বাজারে আগুন
কি করে সইবো ভাই?
আর তো পারি না, আর তো পারি না
একটু বৃষ্টি চাই।
রাত্রি
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
চাঁদের আলো নূপুর বাজায়, তারার আলো নাচে
গোপন কথার ঢেউগুলো ওই রাতের বুকে বাঁচে ।
মুণ্ডু কাটা ধরগুলো সব জীবন ফিরে পায়
আয়রে রাত্রি শুনশান তুই আমার পাশে আয়।
রাত্রিরে তোর মোম ঝরানো গোপন কথা শুনি
তোর সাথে রোজ রাত জেগে তাই হাজার তারা গুনি।
রাত্রিরে তুই চল না নিয়ে অন্ধকারের পারে
তোর সাথে যাই অচিন দেশে আলোর ধারে ধারে।
রাত্রিরে তুই রোজই দেখাস নীহারিকার দেশ
অন্ধকারের আলোয় ঢাকা রূপের তো নেই শেষ।
জীবন পারে আলোর ধারে যাদের বসবাস
রাত্রিরে তুই রোজ এসে সেই খবর দিয়ে যাস।
দিন তো ফাঁকা আলোয় আঁকা গভীর কিছু নয়
পঞ্চভূতের হিসাব লেখা রাত্রি মায়াময়।
পাহাড়
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
পাহাড় পাহাড় পাহাড়...
তোমার কি সুন্দর বাহার!
তোমায় দেখি দুচোখ ভরে
তোমায় ডাকি আদর করে।
তোমার গায়ে মেঘের চাদর
তোমায় ঝর্ণা করে আদর
তোমার পায়ের তলায় নদী
তোমার চুড়োয় উঠি যদি
তোমার পাগল করা হাসি
তোমায় বড্ড ভালবাসি।
ভাবনা
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
কেউ থাকে বসে শুয়ে কেউ মরে খেটে
কেউ বা লম্বা খুব কেউ খুব বেঁটে।
কেউ কেউ মিশ কালো কেউ দুধ সাদা
কেউ বা ধূর্ত খুব কেউ খুব গাধা।
কেউ থাকে বহু তলে কেউ ফুটপাতে
উপবাসে থাকে কেউ, কেউ দুধভাতে।
কেউ কেউ চাপে কুঁজো কেউ করে মস্তি
কেউ থাকে ফ্ল্যাট বাড়ি কারও বাস বস্তি।
কেউ পায় যা যা চায় কেউ পায় অল্প
কেউ শোনে মন দিয়ে কেউ করে গল্প।
কেউ থাকে চুপচাপ কেউ করে বায়না
কেউ পায় সুবিচার কেউ কেউ পায় না।
অঘটন এত কেন, যদি কেউ জানো
দুটি পায়ে পড়ি ভাই, যাও লিখে আনো।
ভাবনা-2
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
কারও চোখ খুব ভাল কারও চোখ অন্ধ
কেউ বা শত্রু কারও মুখ দ্যাখা বন্ধ।
কারও রঙ খুব সাদা কারও রঙ কালো
কারও মাথা খুব মোটা কারও মাথা ভাল।
কারও চুল মাথা ভরা কারও বড় টাক
কারও নাক বোঁচা খুব, কারও উঁচু নাক।
কারও স্বর খুব মিহি কারও মোটা গলা
কারও জোটে রাশি রাশি কারও কাঁচাকলা।
কুলে এসে কারও কারও ডুবে যায় তরি
কি যে হয়, কেন হয় ভেবে ভেবে মরি।
সিংহ
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
বাপরে কি তেজ
খান নন ভেজ
একমুখ দাড়ি
পেল্লাই লেজ।
রাগটা কি কম
সাক্ষাত যম
কি ভীষণ গর্জন
ভেন্ট্রিলকুইজম।
পেশিতে কি শক্তি
তাই করি ভক্তি
একটু রাগলেই
কি রক্তারক্তি।
বুদ্ধি অনেক ঘটে
মাথার বিশাল জটে
আকারে হলেও বড়
ইনিও বিড়াল বটে।
বন্ধু আমার নদী
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
তুমি তো রোজ পাহাড় থেকে সাগর খুঁজতে যাও
কোথায় ফোটে ব্রহ্মকমল আমায় বলে দাও।
কোথায় পাব হাস্নুহানা কোথায় পাব হীরে
একটু থেমে দাও না বলে, বও না একটু ধীরে।
সাগর পাড়ে কোন ঝিনুকে মুক্ত ভরা আছে
ও নদী গো সে খবরও পাব তোমার কাছে।
বন্ধু তুমি দেবে আমায় দূর বিদেশের খোঁজ
তাইত আমি তোমার কাছে ছুটে আসি রোজ।
বন্ধু
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
বন্ধু আমি তোমার জন্য
আঁকব অনেক মিষ্টি ছবি
বন্ধু আমি তোমার জন্য
ফেলব লিখে এক পৃথিবী
বন্ধু আমি তোমার জন্য
সাগর সেঁচে মুক্তো খুঁজি
তোমার জন্য রাত্রি জাগি
বন্ধু আমায় ডাকছ বুঝি ?
টপকে যাব বিশাল পাহাড়
হোক না শক্ত হোক না খাড়াও
সাঁতরে নদী পেরিয়ে যাব
বন্ধু যদি হাতটা বাড়াও ।
জীবন পথে চলতে গিয়ে
হটাৎ যদি ঝড়ও আসে
হাত বাড়িয়ে ডাকলে পরেই
আমায় পাবে তোমার পাশে ।
তরাই বনে
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
এই তো সেদিন অফিস ফেলে যেই গিয়েছি তরাই বনে
বন তো দেখি খুব সেজেছে সবুজ সাজে বিয়ের কনে।
মিষ্টি সুরে শিস দিয়ে কে ডাকছে শুধু ডাকছে আমায়
আমিও তখন ছুটছি দারুণ কার সাধ্যি আমায় থামায়?
বন্ধু বলে বক্সা বন তো এমন করে রোজই ডাকে
দুপুর জুড়ে আলো ছায়ায় মন ভোলান ছবি আঁকে।
ছোট্ট একটা পাগলা নদী ছুটছে শুধু খুশির টানে
সেই খুশিতে যাচ্ছে ভরে আকাশ বাতাস সুরের তানে।
সিকিম যেতে পুরো পথে সঙ্গী হল তিস্তা বুড়ি
পাথর নুড়ি বন দেখিয়ে মনটা আমার করল চুরি।
লিখতে বসে খসখসিয়ে স্মৃতিরা সব আসছে মনে
জ্যোৎস্না ভেজা রাভার গানে বিভোর আমি তরাই বনে।
হাত বাড়াও
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
তোমরা যে খুব একাই ভিজছ
আমায় সঙ্গে নেবে?
তোমাদের ওই খুশির টুকরো
একটু আমায় দেবে?
আমি বসে আছি খুব একা একা
হাই-ওয়েটার ধারে
আমায় কি নিয়ে যাবে না তোমরা
ছোট্ট নদীর পাড়ে?
একটু পরেই সূর্য ডুববে,
হঠাৎ নামবে রাত
একা একা আর থাকতে পারিনা
বাড়াও বন্ধু হাত।
উড়তে পারা
©সুদীপ্ত বিশ্বাস
বলতো দেখি কেমন হতো
সবার যদি থাকত ডানা
উড়ে উড়েই চলত সবাই
যেমন ওড়ে পাখির ছানা।
লোকাল ট্রেনের দারুণ ভিড়ে
হতো না কেউ চ্যাপ্টা চিড়ে...
ইস্কুলে বা কলেজ যেতে
লাগত না রে কোনই গাড়ি
রোড জ্যামকে ভেংচি কেটে
বলত সবাই, “উড়তে পারি !”
----------------------------------