আরও একটি কঠিন দিন, আরও একটি দুঃস্বপ্নের আঘাত সহ্য করা রাত্রি পেরিয়ে
ছুটে আসে রাত জাগা রক্তিম চোখের যবনিকা ছিঁড়ে,
ঠিকরে বেরিয়ে আসা চোখের ফুটবলে আর
ঝুলকালি মাখা জং ধরা অক্ষি কোটরে ----
গুচ্ছ গুচ্ছ গোলাপের তোড়া, অঙ্কুরিত জুঁই আর বেল ফুলের টব গুলি
হৃদয় বারান্দায়, ঘরে, মেঝেতে ছুঁড়ে ফেলে দিতে
কাল বৈশাখী ঝড়ে ছন্নছাড়া প্রকৃতির মত ।

এখনও...
এখনও বুকের চুন বালি খসে পড়া দেওয়াল
চকলা চকলা উঠে আসা ছাদের প্লাস্টার, মরচে ধরা শিলিং ফ্যান
স্যাঁতসেঁতে উঠোন, ঘুণ ধরা জানলা দরজা, বুক সেল্ফ আর ভাঙা আয়না
তোমার ফুঁ দিয়ে উড়িয়ে দেওয়া চুমুর গন্ধ মেখে হামাগুড়ি খাই হাসাহাসি করে, কখনো ধুলো মেখেও সং সাজে
একটি মাত্র যাযাবর ফিঙে পাখির মতো মন ।

আজ ক্ষয়প্রাপ্ত জীবনের না হেঁটে যাওয়া পথ থেকে কুড়িয়ে
কঙ্কালসার কাঁপা কাঁপা হাতে, এক মুঠো পাথর এই নাও দিলাম তোমায়
প্রেমের প্রতিদান ।

হায় ! একটা গভীর ভেজা আস্তরনে মোড়া দীর্ঘশ্বাস ফেলে
নিষ্প্রাণ কন্ঠে উচ্চারন করি তবু ভালো আছি, হয়তো বা তার বিপরীত
কিংবা কোনো কিছুই নয় ----
বনলতা সেন, আজও বেঁচে আছি মৃতের স্তুপে,
শূন্যতা ঘেরা পৃথিবী আর এই বিশ্ব জগতে
কেবল তোমার ভালবাসার ক্ষুদ্র একটি দাবি মেটাতে ।

বনলতা সেন, আরেকবার ফিরে আসতে পারো দুঃস্বপ্ন হয়ে
দাবানলে ছারখার হয়ে যাওয়া সংসারে ----
নিঃশেষ হয়ে যাওয়া হৃদয়ে পড়ন্ত বিকেলের ক্ষীণ আলোটুকু কেড়ে নিতে ।।