তুমি ছিলে ঠিক তোমারই মতো, যাকে কখনো আলাদা করা যায় না।
যেমন চন্দ্র, সূর্য, নক্ষত্রগুলো রয়েছে বহুকাল ধরে।
আমি তোমাকে চন্দ্র, সূর্য বা নক্ষত্রের সাথে তুলনা করছি না।
কারণ নক্ষত্র একের অধিক হলেও চন্দ্র, সূর্য কিন্তু একাধিক নয়।
এদেরও আচরণে পরিবর্তন আসে সময় অসময়ে কিন্তু অকারণে নয়।
এখানেই তোমার সাথে এদের পার্থক্য।
তুমি ঠিক অকারণেই পার্থক্য খোঁজে নিলে, গন্তব্য খুঁজে নিলে
অনেকটা বনের হিংস্র পশুদের মতো!
যখন তারা ক্ষুধার্ত থাকে, শিকার খুঁজতে ব্যর্থ হয় তখন নিজেরাই নিজেদের ভক্ষণ করে।
এরা তো না বুঝে নিজেদের কাউকে হত্যা করে!
কিন্তু তুমি তো জেনেশুনেই জিন্দা লাশ করে রেখে গিয়েছো।

দেখো,
আকাশটা ঠিক ঐ দিনটার মতোই মেঘাচ্ছন্ন, একটুও হাসি নেই তার মাঝে
ঠিক ঐদিনটার মতোই কিন্তু আজও চাঁদ উঁকি দিচ্ছে মেঘের আড়াল থেকে ক্ষণে ক্ষণে।
কিন্তু আমেজটা ঠিক ঐদিনটার মতো নেই।
বিষাদের অন্ধকার নেমে এসেছে জোৎস্না ভরা রাতে।
চারিদিকে শুধু শমশম আওয়াজ আর মাঝে মাঝে ঝিঁঝি ডাকছে।
কিন্তু কোনো জোনাকি নেই, ঠিক তোমার মতো।
কতটা পার্থক্য!

ভালোই হয়েছে, সুবিধা হয়েছে এখন বুঝতে পারি।
সত্য - মিথ্যার মাঝে যে এতো উঁচু প্রাচীর থাকে আগে জানা ছিল না।
জানবোই বা কিভাবে বল! মিথ্যার কোনো প্রয়োজন পড়ে নি তো কখনো।
সেই প্রথম মিথ্যা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে অন্তর চক্ষু খুলে দিয়ে দেখিয়ে গেলে।
এরপরই তো বুঝতে পারলাম কতটা পার্থক্য।
নিশ্চয়তা দিতে পারি এই পার্থক্যের হিসেব মনে থাকবে বার্ধক্য পর্যন্ত।