মধুর কন্ঠস্বর শুনার সৌভাগ্য হলো এক হাজার চারশো কুড়ি দিন পর
আমায় ছেড়ে বেধেঁছো এখন নতুন সুখের ঘর।
আমায় করেছো পর।
দর্শন হলো যানজটের ভীড় পেরিয়ে কোনো এক টং দোকানে পাঁচ টাকার চায়ে চুমুক দিতে গিয়ে।
জড়োসড়ো মানুষের কোলাহলের ভীড়ে আমি তোমাকে দেখেছিলাম,
বেশ শুকনো লাগছিল তপ্ত দুপুরের কোলাহলে। এখন বেশ ঘটা করে হিজাব পড় দেখি, আমার বেলায় তো গরমের অযুহাত।
এতো এতো বাঁধা নিয়মের বাহিরে, খুব করে ইচ্ছে করেছিল, শুধু একবার ধরি তোমার হাত!
আচ্ছা দই আর মিষ্টির জোকটা এখনো আছে?
নাকি কারো জন্য বাদ দিয়েছো, বদঅভ্যেসের পাশে।
একটি নজর দেখার জন্য সে-ও কি আমার মতো পাগল?
নাকি অযুহাতের বাহক হিসেবে সে-ও তোমার মতো বেঁধেছে স্বার্থের দল!
সে-ও কি আমার মতো চুল খুলে দেয়, পিছন থেকে হঠাৎ করে ঝাপটে ধরে?
নাকি দামী দামী উপহারের ভীড়ে নতুন তুমিতেই মন ভরে?
নতুন তুমি কি তোমার চোখের জল দেখে সে-ও কেঁদে ফেলে?
সে-ও কি আমার মতো তোমার জন্য কাঁদতে পারে?
ভালো কি বাসতে পারে আমার মতো?
এক হাজার চারশো কুড়ি দিন পড়ে শুনে মনে হলো মনে আনন্দ আছে যতোশতো।
আচ্ছা সে-ও কি বৃষ্টি ভালোবাসে?
নিশ্চয়ই আর পিছলে পড়ার ভয় নেই!
ভয় নেই হাসাহাসির ব্যামো!
নতুন তুমি বেশ রেখেছে তো?
নিশ্চয়ই নেই তার কোনো ব্যামো!
তার নেই নিশ্চয়ই কোনো বুকের ব্যথা!
কত যন্ত্রণা সহ্য করেছো, কত রজনী নির্ঘুম কাটিয়ে দিয়েছো !
তা আর কি বলবো!
আচ্ছা নতুন তুমি কি আমার মতো তোমার ভেজা চুলের ঘ্রাণ ভালোবাসে?
আমার বেলায় কতোই না বিরক্ত হতে!
আচ্ছা সে-ও কি আমার মতো নিত্যনতুন আবদার করে?
নাকি সব পাগলামির ভীড়ে নতুন তুমি আমার থেকেও অধিক বেশি ভালোবাসে!
এক হাজার চারশো কুড়ি দিন পড়েও, বসত করছো কল্পনায়
আজীবন এভাবেই রয়ে যাবে হিয়ায় আর আমি থাকবো নিরব যন্ত্রণায়!
আচ্ছা চুলের যত্ন কি ঠিক আগের মতোই নিস?
আছে আজও হঠাৎ করে মন খারাপের অভ্যেস!
আজও কি কারণ ছাড়াই কাউকে ছেড়ে চলে যাস?
পরবর্তী দেখার প্রশ্নের সম্মুখে করিস হাসফাস!
দীর্ঘ এক হাজার চারশো কুড়ি দিন পর!
এখনও তুমি আমার ভালোবাসার ঘর।
আমার একান্ত প্রিয় ঘর।