বিদঘুটে অন্ধকারে হঠাৎ নিয়নের আশ্রয়ে
ভবঘুরে উদাসীন হিয়া অজানার পথ চেয়ে।
নিভু নিভু করে জ্বলা আলোর খুঁটির ন্যায় তুমি এলে
চন্দ্রের ন্যায় মেঘের মতো আলতো ভাবে জড়িয়ে নিলে।
তোমার নয়নের দারুণ দৃষ্টিতে আমি নতুন করে পৃথিবী দেখলাম
ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে তোমাকে আগ্রহ ভরে জিজ্ঞেস করলাম, " তুমিও কি আমার চোখে পৃথিবী দেখো? "
সে শিশিরের রোমাঞ্চকর শব্দচয়ণের ন্যায় জবাব দিলো, " আমি আমার মতো করে তোমাকেই দেখি "।
রগচটা লোকটাও কিভাবে এতো সহজে রোমান্টিক হয়ে গেল!
ভাবতে থাকলাম...
তখনই তার কোমল আঙুল দ্বারা তুরি মেরে জিজ্ঞেস করলো, " কি ভাবছো এতো? "
আমি বললাম, "এতোটা সহজেও রোমাঞ্চ ছড়ানো যায়? "
সে তীব্রভাবে আমার চোখের দিকে তাকিয়ে এক গাল হেসে বললো, " তুমি পাগল! "
আমি বললাম " মায়া যেখানে ধুলোর থেকেও অতি দ্রুত ছড়িয়ে যেতে পারে, সেখানে আমি অদম কবি তোমার চোখে তাকিয়ে থাকতে থাকতে পাগল হলে দোষ কি! "
আমাকে বললো, " অনির্বাণ, তুমি বড্ড মায়া জড়ানো কথা বলো। কখন যে অবাক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকতে থাকতে ফজরের আজান দিয়ে দেয় প্রতিদিন বুঝতেই পারি না!"
আমি বলি, " তুমি শুনো বিধায় আমি অনর্গল বলতে থাকি, তুমি হাসো বিধায় আমি ভাসতে থাকি, তুমি মায়া মাখো বিধায় ভালো বাসতে পারি। "