আমি কখনো কখনো হাত বাড়িয়ে মেঘও ছুঁতে পারি কিন্তু তোমার নাগাল পাই না।
অসময়ে ইচ্ছাকৃত বর্ষাও নামাতে পারি কিন্তু তোমার দেখা পাই না।
তুমি ঠিক কিভাবে লুকিয়ে রেখেছো নিজেকে ! বলা যাবে কি ?
দীর্ঘ প্রতিক্ষার প্রহর কেটে গেলে, খুঁজে পাব কি !
সেই পেয়েছিলেম,
গত প্রত্যুষের বৈকালে শুভ্র মেঘের ছায়াতলে ।
এরপরে আর পাই নি!
তুমি,
কি দারুণ ফানুশের মতোই না হারিয়ে গেলে !
ঠিক যতদূর গেলে দূরবীনের কাচের ভেতর দিয়েও ঝাপসা দেখা যায় না!
আন্দাজের ওপর নির্ভর করেও তোমার উপস্থিতি স্পষ্টতা পায় না।
বেশ দারুণ ভাবেই হারিয়ে গেলে!
সেই যে গেলে...
আচ্ছা তুমি কেন বিজয় দিবসের পূর্ব প্রহরেই এসেছিলে?
আচমকা ধুমকেতু হয়ে!
কেনই বা আবার ৪৮ দিবসের শেষ ট্রেনেই আচমকা হারিয়ে গেলে?
উত্তর নেই আমার কাছে, আমি জানতে চাই এবং জানতে চাই।
তোমার রেখে যাওয়া চুলের গন্ধ, লাল টকটুকে ঠোঁটের স্পর্শ, চিবুকের টানাপোড়ন কিছুই আমাকে মাতাল করতে পারছে না!
মাতাল করতে পারছে না কল্পনার কাগজে একেঁ দেওয়া সেই প্রতিবিম্ব।
অসহায়ত্ব, অনাহারে, অভিযোগে শুধুই তোমাকে দায়ী করছে বারবার আমার কোমল মন,
আমি কোনো জবাব দিতে পারছি না, পারছি কোনো সান্ত্বনা দিতে।
১১৫২ ঘন্টার লম্বা প্রহর শেষে তোমাকে কেন হারিয়ে যেতেই হলো?
কেনই বা আসতে হয়েছিল শীতকালীন অতিথির ন্যায়?
তোমার রক্ত সাগরের স্রোতে সেই যে ভিজিয়ে ছিলেম পা দুটো
আর ভেজানো হয় নি কৈশোরে!