তোমার সাথে আমার আর দেখা হবে না।
চোখের মাঝে আর হৃদয়ের ফুল ।
যতবার হয়েছে দেখা,
রেখেছি হাতে হাত....
পথের পাশের গাদা ফুল, সবুজ দূর্বাঘাস.
হয়তো দীর্ঘ নিশ্বাস ফেলে তারা বলেছিলো
তোমাদের আ....র দেখা হবে না।
তাই হয়তো ওরা বড্ড মায়া করে ..
ঢেলে দিয়েছিলো যতো মমতা
এই মোহনায়
আর নইলে কেনো বলো
আজো টলোমল।
আজো ওরা উঁকি দেয়,
এক নদী ব্যথা নিয়ে বলে
তোমাদের আ...র দেখা হবে না।
ওই স্নিগ্ধ দুপুরের রোদ্দুরে
যখন করেছো খুনশুটি
আমি বুঝেছিলাম এটা ই বুঝি আমার রোদ,
আমার আকাশ,
এটাই আমার প্রান্তর
।আর এই তুমি বুঝি কেবল আমার।
মায়াময় সন্ধ্যার আগে
ওই কচুরি পানার পাশে যে তুমুল আলোড়ন
তোমার আর আমার মন যেনো একটি নাওয়ে বসে...
ওই কচুরিপানা দেখে জীবনের আস্বাদন..
সন্ধ্যা নেমে আসার পর বাড়ি ফিরে গেছো,
পেছনে তাকিয়েছো বেশ কয়বার।
তুমি কি ঠিক জানতে আর হবে না দেখা?
বুঝতে পেরেছিলে?
ওই গাছ এর ফুল টেনে তোমার ওই কারুকার্য
মুঠোফোনে বন্দী বেশ কতবার।
আর হবে না তার পুনরাবৃত্তি।
হবে না দেখা এক সাথে দীঘল সবুজ উদ্যান
দীঘির কালচে টলোমল।
ওই দৃশ্য গুলার হবে না পুনরাবৃত্তি।
জীবনে যাওয়া হবে না আর ...
তোমার কোলে মাথা রেখে
বলা হবে না আর....
আলিঙ্গন করেবলেছিলাম
ছেড়ে যেও না আমায়।
তোমার তখন বনোফুলের
উথাল পাতাল নিশ্বাস
আজো তরংগ আমার স্মৃতির মূর্ছনায়।
তোমার সাথে যে আমার আর দেখা হবে না,
এই দুখবোধে পরাজিত সৈনিকের মতোন
আত্মসমর্পণ আমার,
আমি মেনে নিয়েছি,
তোমার সাথে আমার আ...র দেখা হবে না।
আচ্ছা ওই যাদুর শহর ঢাকা
কত খানি বড়?
কত টা বিস্তৃত এই ব্যস্ত প্রান্তর?
এই শহরের প্রতিটা অলিগলি চষে,
প্রতি টা মুখ খুঁজে কি
মিলবে না প্রতিমার কারুকার্য?
তোমার সাথে আমার আর দেখা হবে না।
এই সত্য টি বুকে নিয়ে
দেখা হবে না আরো কত বছর।
যদি হয়েই যায় কভু দেখা...
চোখে না তাকিয়ে বলবো,
এ দেখা ছিলো দৈবাৎ....
এ আমাদের কপাল।
তোমার চোখে তাকাবো না
আমি আর।
এই চোখেই হয়েছিলো
হৃদয়ের ফুল আদান।
যেনে রেখো, তখন বলবো আমি,
তারাপদ রায়ের মতোন
তোমার সাথে আমার আ....র দেখা হবে না।