একি দোলায়- দুলছো মেদিনী- তুলছো প্রলয়ী দোল্
লালে লালে সিক্ত ধরাতল, লাল বাঙলা মায়ের কোল্।
ধরো লাগাম পড়ো আসমানী পয়গাম কি আছে তাতে
রাখো অবদান বিবেক জাগ্রতে, বিভেদ থাকেনা যাতে।
ভূ-পৃষ্টে ঝরা ব্যথাভরা রক্তকণা- পাড়ি দিচ্ছে আকাশ
কে জানে কার প্রাণপ্রিয় যাচ্ছে উড়ে ফেলে দীর্ঘ নিশ্বাস।
অণু থেকে পরমানু- নিউট্রণ- প্রটোন- ঈশ্বরকণা
প্রাণ শক্তিতে সয়লাব- অগণন শক্তির আনাগোনা।
অখন্ড শক্তির কথোপকথন- শোনেনা দাম্ভিক দল
শোনে সমস্ত শক্তির ধারক- কেন্দ্রিয় শক্তি বাহুবল।
অভিশাপের এটোমিক শক্তির খবর- রাখেনা খুনি
পরোয়ানায় লিখা হচ্ছে নাম, জানে সাধক-ঋষি-মুনি।
রাজা-প্রজা, উজির-নাজির, যেথায় নাই কোনই মূল্য
কেন্দ্রের কাছে বিবেকী মানুষেরাই- অমূল্য-মহামূল্য।
ভয়ে কেঁপোনা মেদেনী-থেমোনা নদী-কেঁদোনা ব্যথিত মা
উঠুক বজ্রধ্বনি- আসুক অভিশাপ- বাজুক দামামা ।
হয়ে যাক ভেঙ্গে খান খান- শয়তানী যত আছে ঘাঁটি
ফিরে আসুক শান্তি-প্রশান্তি, শান্ত হোক ধরিত্রীর মাটি।