তাসের ঘর
জাফর পাঠান
সকাল হয় আমার নিঝুম নিস্তব্ধ মধ্য নিশুতিতে
ঘুমালেও সবাই, থাকি জেগে আমি প্রতি রাতে,
মানুষের ক্ষণিক নশ্বর জীবন নিয়ে, ভাবি আমি
এত ত্যাগের জীবনকে, মনে হয় কেন ছেলেমি।
ভাবি মেলে দিবো বুকটা-বিলিয়ে দিবো, জগতে
প্রকৃতি আর মানুষের সাথে, হাত মিলাবো হাতে,
গ্রহন করে যদি প্রকৃতি-সদাব্যস্ত মানুষ যায় সরে
সপ্তরং ঘিরে ওরা ধরে, মাতে রঙ্গের বাসর ঘরে।
বন্ধুত্বের হাত আবারও বাড়াই যখন মনুষ্য পাণে
ভাব দেখায় সে-হাঁকিছে বাহন যেন উর্ধ্ব গগনে,
দুচোখের অশ্রু নদে ভাসি, ঘুরি বৈঠাহীন ভেলায়
অজানা থেকে অজানায়, ভাবনা ঠেলে নিয়ে যায়।
কিসের বড়াই! ক্ষণিক জীবনের কেন মিথ্যা অহং
কেন দেখায় রূপ যৌবন, আর বিত্ত বৈভবের ভং,
ভাবেনা, বিনি সূতার উপর বেঁধেছে তাসের ঘর
সেকেন্ড ব্যবধানে ভাঙ্গে ঘর-ফিরেনা আর প্রহর।
ভাবি যখনই, মনে হয় সবাইকে অচেনা আর পর,
ওরা ভাবুক-না ভাবুক; আমি ভেবে যাবো নিরন্তর।