অমানুষ
জাফর পাঠান
তুই- বিশ্ব চরাচরের- ভ্রষ্ট দুরাচার
তুই মানবকুলের নচ্ছার হতচ্ছাড়,
তুই বিষ্ঠা-নর্দমার কীট-তুই উচ্ছিষ্ট
গুছানো বসুন্ধরার তুই এক পাপিষ্ট,
অঙকুরিত কলির তুইতো মহাকুষ্ট
চলমান মহাবিশ্বের জঘন্য অনিষ্ট।
সাজানো উদ্যানকে- করছিস ধ্বংস
কেড়ে নিচ্ছিস কারো ভবিষ্যৎ বংশ,
কারো স্বপ্নকে- ভেঙ্গে দিয়েছিস তুই
বল্ মানুষ মাঝে তোকে কেমনে থুই,
তাইতো তুই- মনুষ্য সমাজের দানব
তুই হত্যা করছিস অমল সব মানব।
পশুদের যেমন নেইকো লজ্জা শরম
মানুষের আকৃতিতে তুইও সেরকম,
মানুষ পোষাকে তুই বড্ড বেমানান
বাস্তবিকই পশু তুই, নয় অনুমান
সভ্যতার আড়ালে যত হাতাস রসনা
সইবি তুই যাতনা, ভাঙবেই বাসনা।
সন্তানহারা মা, ভিজাচ্ছে- তার আঁচল
স্বামীহারা স্ত্রী মুছে ফেলছে সব কাঁজল,
আদুরে শিশুটি খুঁজে ফিরে তার বাবাকে
ভাই-বোনেরা বলে ভাই ডাকবো কাকে?
ওরে নরাধম খুনী- কুকুরদের দল
এর জবাবে- কি বলবি তুই বল?
নষ্ট করতে সমাজ, এসেছিস ধরায়
হায়েনার বাস তোর শিরায় শিরায়,
পঁচন শুধু পঁচাতে জানে- পঁচনই ধর্ম
তুইতো সেই পঁচন, মারন যার কর্ম,
তোকে ঘিরে ধরেছে ঘৃণ্য পাপাত্মারা
মনুষ্য সমাজের তুই পঁচা বিষফোঁড়া।
যদি হস তুই রাষ্ট্রের নির্বাহী প্রধান
যদি হস- অর্থ সম্পদেও বিত্তবান,
যদি পরিস শিক্ষার উচ্চমুকুট মাথায়
তবুও তুই মূর্খ ইতিহাসের পাতায়,
মৃত্যুতে নাই ভয়- মনুষ্যত্বে শুধু ক্ষয়
তুইতো অমানুষ, পশুত্বেই তোর জয়।
(কাব্যগ্রন্থ : দ্রোহের দহন )