আমি নিজেই একটা স্তূপীকৃত নোংরা ভাঁড়
ময়লা, আবর্জনা, নর্দমা, উচ্ছিষ্টের ভাগাড়,
আমার আবার কিসের এত অহংকার।
আমার উৎপত্তি, সৃষ্টি, বৃদ্ধিতো সেখানে -
রক্ত-বিঝল পূর্ণ থলিতে- যেথা হই পরিনত,¬¬
সম্মুখে দেখলে তা, নাক ছিটকাই অবিরত।
প্রতি বেলায়-অবেলায়, আমরা তাই ত্যাগী
শরীর উৎপাদিত-উৎগত ময়লা, যা সঞ্চী,
আমারই শরীরে যা গড়ি-লালি প্রতি পঞ্জি।
অহংকার দমনে একবার কি ভেবে দেখেছি-
মরার পরে- রাখবেনা ঘরে, পঁচনের ভয়ে,
নির্দ্রিষ্ট সময় পরে; রাখা যাবেনা বলে কয়ে।
আমি পঁচবো-গলবো, পোঁকা-মাকড় হবো-
হবো আবর্জনা-হবো ভাইরাস ব্যাকটেরিয়া,
রইবেনা রূপ-লাবণ্য-হিয়া, গেলে মরিয়া।
অপরের রক্ত টানি, গড়েছি সংসার খানি
আত্মা ছাড়া-আমি নস্যি, একবিন্দুও ভাবিনি,
করেছি তুচ্ছ, আত্মার অহিংস শান্তির বাণী।
আমি খাচ্ছি পঁচা-মরা মানুষ, পঁচা পশু পাখি
যত্ন করে ও ঘৃণায়, যা মাটিতে পুতে রাখি,
এর নির্যাস, ফল-মূল ফসলাদি-নিত্য চাখি।
আমাদের ত্যাগ করা মল-মূত্রই, আমরা খাই
নশ্বর রূপের ছড়ি ঘুরিয়ে, বড়াই করে বেড়াই,
বসে প্রহেলিকায়, নাইট্রোজেন চক্র ভুলে যাই।
এ যেন মর্ত্যের নিয়ম রক্ষার ধরাবাঁধা কথকতা
উদ্ধত্যের পরাকাষ্ঠায়, গালি দেই ‘কুত্তার বাচ্চা’,
মরলে মিলেমিশে মাটিতে মিশি, এটাই সাচ্চা।
বলো জগতী, কোন্ আবে হায়াতের মোহে হই
নিষ্ফল-ভঙ্গুর-ক্ষণস্থায়ী, যত মরমরে অহংকারী,
কোন্ আশায় হই শঠ্, মিথ্যাচারী- অত্যাচারী।
আমরা কি পারিনা, অহংকারের বুকটি চিরতে-
সুজলা-সুফলা-চিরহরিৎ শান্তির বীজ ফলাতে,
আমরা কি থাকতে পারিনা মিশে, শান্তির কাতে,
ইচ্ছা মুদ্রার বিনিময়ে শান্তি কিনতে, এক চিলতে।