দ্যুলোকে ভূলোকে রেখে যাননি কোন কিছুই বাকি
ছন্দ তুলির আঁচড়ে- সবি গেছেন ধরাতে আঁকি,
অমাবশ্যায় যিনি তুলেন- ভরা পূর্ণিমা রজনী
তিনি নজরুল ইসলাম- “কবিকুল শিরোমণি”।
কার কোন্ ধর্ম-কর্ম-বর্ণ, কার কোন্ জাত-পাত
সমান দৃষ্টিতে সবার সাথে- মিলিয়েছেন হাত,
শোষিত পেষিতদের জন্য ভেবেছে সারাটি রাত
ক্ষুধিত- মানবদের জন্য- হয়েছেন অশ্রুস্নাত।
সাম্রাজ্যবাদ পেয়ে ডর- কবিকে রেখেছে পিঞ্জর
বাজাতে বাজাতে খঞ্জনি, হেনেছে ধারালো খঞ্জর,
কবি তবুও টলেনি- পরাজয় স্বীকার করেনি
লিখেছেন বারুদের কলমে- একবিন্দু নড়েনি।
সাত আসমান- সাত জমিন, বাজায় কাব্যবিণ
ছন্দে ছন্দে সুরলহরী তোলে- রাতের পর দিন,
মহাকাশে ফুটেছে ফুল- মহাবিশ্বের মহাফুল
বিস্ময়ে দেখে বিশ্বকবিরা! তুল্যহীন নজরুল।
তৃষ্ণার্ত এক লেখক আমি- চিনতে করিনি ভুল
দিয়েছি উপাধী, ‘কবিকুল শিরোমণি নজরুল’।