দুঃখটাকে আমার, দেখেনি কখনও আকাশ
যদিও আকাশের নীচে নিবাস-করি বসবাস,
শুনেনি অনিল, আমার দুখের কান্নার টু শব্দ
যদিও পবনে বেষ্টিত আমি, সর্বদা অবরুদ্ধ।
দেয়নি বুঝতে মাটিকে কখনো, দুঃখ আমার
যদিও কোলেতে কেঁদেছি-আলোতে পূর্ণিমার,
মানুষের মাঝে বিচরণ, মানুষেতে জীবৎকাল
দেখেনি-শুনেনি-বুঝেনি কেউ, হৃদয় আকাল।
কায়া দেখেছে-ছায়া দেখেছে-মায়াও দেখেছে
দেখেছে উপর-দেখিনি কেউ-ভিতর দেখেছে,
রক্তবন্ধনে বাবা-মা, চেয়েছে বুঝতে আমাকে
হয়ত বুঝেছে কিছু, থমকে ক্ষণিকে ক্ষণিকে।
জানিনা বুঝেছে কতটা, দিগন্তহীন মহাসিন্ধুর
পেষণে পেষণে হয়েছি বিন্দু, দুঃখ মহাবিন্দুর,
ভাসাতে পারে এ বিন্দু, সৌরজগত-মহাজগত
দিতে পারে ধুঁয়ে-মুছে, মনের কালিমা-গলত ।
জমিয়ে ভাব-দুখের সাথে, হয়েছি জমজ বন্ধু
গুটিয়ে নিজকে লালে’ছি মনে, মহা দুখ্ বিন্দু।
( কাব্যগ্রন্থ : নাবুদের নাদ )