দুব্বাঘাসে ভরা মাঠ
সোনালী ধানক্ষেতের অপরূপ দৃশ্য,
পাখিদের নরম হাসির আভা
আমের মুকুলের সুগন্ধ,
এই সব নিশানা ধরেই ফিরছি আমি।
রোদ্দুরের খরতাপে হাঁটছি একা,
হটাৎ সন্ধ্যা নেমে এল বনের ধারে
যেন চারিদিক কুয়াশায় আচ্ছন্ন;
আগের স্মৃতিগুলো ক্রমে-ক্রমে মুছে গেছে
মনের কোণে নানান বিচিত্র প্রশ্নের স্তূপ জমে!
আঁধারের স্তব্ধতায় ডাকে ঝিঝি পোকা।
একটুখানি এগিয়ে যেতেই-
হটাৎ দেখি, ঐ যে জ্বলছে প্রদীপের আলো'
ওটাই বুঝি আমার সাধের কুঁড়েঘর।
অনেক দিন আগে আমি তাকে ছেড়ে
কাজের খোঁঁজে শহরে চলে গিয়েছি,
তবু তার আঁচলের ছায়া আজও হৃদয়ে আবদ্ধ;
ঘুমের সময় তার সাথে করেছি কত গল্প;
নিশিথে স্বপ্ন দেখেছি রূপকথার কাহিনীর মত।
সময়ের সাথে বড় হয়ে,
একদিন ঘর ছেড়ে বেরিয়েছি
সন্ধ্যার সীমান্তজোড়া ওই দূরের পাহাড় ডিঙিয়ে।
অবশেষে পৌঁছেছি এক অজানা শহরে!
ঘরে ফিরে আসার তাগিদায়
দিশেহারা হয়েছি মনের মাঝে পথ খুঁজে!
রূপ কথার গল্পের কখনও শেষ দেখেনি"
আজ সেই দুব্বাঘাস পাখিদের কোলাহল
সোনালী ধানক্ষেত গ্রামের ঝিল আর
ভালোবাসার ছোঁয়া পেয়ে এখানে ফিরেছি।
শূন্য আলয়ে জ্বলছে প্রদীপ!
আলো আর অন্ধকার প্রতিক্ষণে খেলা করে-
আমার বুকের মাঝে,
আজও আমার কানে বেজে ওঠে
ভাঙাচোরা কণ্ঠস্বরে বৃদ্ধা মা'য়ের কথাগুলো,
সে যেন বার-বার ঘরে ফিরতে বলে!
হয়ত প্রদীপ নেভার পরও এই ডাক শুনতে পাব;
যতক্ষণ না আমি রূপকথার গল্পগুলো
মনের কোণে চেপে রেখে আবার গিয়ে দাঁড়াব
আমার সেই দুঃখের দুয়ারে।
রচনাকালঃ- ১৬/০৩/২০১৯